বিয়ে কোন বয়সে করা ভালো?

বিয়ে কোন বয়সে করা ভালো?

একটা কথা শুনেছিলাম সেদিন। পশ্চিমা এক দেশে একবার একটি কুকুর একটি বাচ্চাকে আক্রমন করে। চারিদিকে লোকজন দাঁড়িয়ে দেখছিলো। কেউ এগিয়ে আসছিলো না তাকে সাহায্য করতে। একজন মানুষ সাহস করে এগিয়ে গিয়ে কুকুরটিকে মেরে বাচ্চাটিকে বাচায়। চারিদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে তার এই সাহসি ভুমিকার। লোকজন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সাংবাদিকরা এলো তার সাক্ষাতকার নিতে। জিজ্ঞাসা করলো আপনার নাম কী? সে বললো, মুহাম্মাদ। বিস্তারিত সাক্ষাতকার সবাই নিয়ে গেলো ঠিকই। কিন্তু পরের দিন পত্রিকায় এলো

আপনার সন্তান থেকে আপনি কী চান?

আপনার সন্তান থেকে আপনি কী চান?
গাজিপুর থেকে ঢাকা ফিরছিলাম। বাসে উঠে বসলাম। কিছুক্ষন পর এক মুরব্বী উঠে আমার পাশেই বসলেন। আমি সালাম দিলাম। স্নিগ্ধ কোমল চেহারা। শ্বেত-শুভ্র লম্বা দাড়ি। দেখলেই শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা করে। বয়সের ভারে বেশ ন্যুজ বোঝা যায়। যেন জোর করেই লুকোনোর চেষ্টা। কালো প্যান্ট সাদা শার্ট পরা। ইন করা। হাতে একটি এক্সিকিউটিভ ফাইল। কাগজ-পত্র ভরা।
কিছুক্ষন পর তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, বাবা আপনার নাম? নাম বললাম। জিজ্ঞেস করলেন কী করেন? সংক্ষেপে বললাম। জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় থাকেন। বললাম। জানতে চাইলেন বাসায় কে কে আছে।

রাসূল (ছাঃ)-এর একাধিক বিবাহ পর্যালোচনা :

রাসূল (ছাঃ)-এর একাধিক বিবাহ পর্যালোচনা :

জানা আবশ্যক যে, ২৫ বছরের টগবগে যৌবনে আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) বিবাহ করেন পরপর দুই স্বামী হারা বিধবা ও চার সন্তানের মা ৪০ বছরের প্রায় বিগত যৌবনা একজন প্রেীঢ় নারীকে। এই স্ত্রীর মৃত্যুকাল অবধি দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি তাকে নিয়েই ঘর-সংসার করেছেন।

যেই সমাজে বিয়ে কঠিন হয়, সেই সমাজে ব্যভিচার সস্তা হয়ে যায়!

যেই সমাজে বিয়ে কঠিন হয়, সেই সমাজে ব্যভিচার সস্তা হয়ে যায়!


আজকাল প্রতিটি ঘরেই স্যাটেলাইন কানেকশন। সারাদিন সিরিয়ালে দেখা যায় সুন্দরী প্রদর্শনক্ষম মেয়েদের মূল্য, আকর্ষন। 'সিক্সপ্যাক' শব্দটা আগে শোনা যেতনা, এখন ছেলেরা প্যাক অর্জনের যন্ত্রণায় অস্থির থাকে। যতই জ্ঞানীগুণী আর হুজুরের পরিবার হোক, এখনকার কিশোর-কিশোরীরা এগুলো অবশ্যই অবশ্যই জানে--এগুলোই তাদের চারপাশ। তাদের এফএম রেডিও সারাদিনই প্রেমের গানে, প্রেমের আলাপে, লাভগুরুতে ভরপুর থাকে। ফ্রেন্ডসদের আড্ডাবাজির এসএমএস পড়ে শোনায়। যাদের কোন মেয়ে/ছেলে নাই "আড্ডা" মারার, "গল্প" করার, "পিকনিক" করার, "ফোনে কথা" বলার--তারা নিজেদের অসহায় ভাবতে বাধ্য হয়। পারিবারিক জ্ঞান বাবা-মা দিয়ে রাখলে সেক্ষেত্রেও তাদের যুদ্ধ হয় কঠিন যুদ্ধ। প্রতিদিন, অনেকবার। বয়ষ্করা এসব জানেনা, বুঝতেও পারবে না ভিতরে এসব কালচার কীভাবে কাজ করে, আমরাই পারিনা ঠিকমতন! মাত্র ১০বছর আগে অমন ছিলাম তাই অনেক ব্যাকডেটেড আছি!!

নারী-পুরুষের ফ্রি মিক্সিং

নারী-পুরুষের ফ্রি মিক্সিং

আমার খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড, তবে আমার ডিপার্টমেন্টের নয়। ওর কয়েকটা ছেলে বন্ধু ছিল। ছেলেগুলো অবশ্য ভালোই, ফটকা ধরনের না। তারপরও আমার ব্যাপারটা পছন্দ হতো না। যে যতই বলুক না কেন, আমার কেন যেন বিশ্বাস হতে চাইত না যে ছেলে-মেয়ে শুধুই ফ্রেন্ড হতে পারে। অন্য কোনো আবেগ একটুও কাজ করে না। যাইহোক, অনেকদিন ওকে মানা করেছিলাম। কিন্তু ও শোনেনি। ও আমাকে উলটো বুঝাত যে, মেয়েরা অনেক হিংসা করে, হেল্প করতে চায় না, নোট দিতে চায় না। কিন্তু ছেলেরা এমন না। ওরা অনেক হেল্পফুল। নোট না থাকলেও অন্যের কাছ থেকে জোগার করে দেয়। আমি বলতাম, ‘তোমার হয়তো ওদের প্রতি অন্যরকম কোনো ফিলিংস নেই। কিন্তু ওদের তো থাকতে পারে।’ কিন্তু ও আমার কথা হেসেই উরিয়ে দিয়েছে, বলেছে: ‘অসম্ভব! ওরা জানে যে আমি একজনকে পছন্দ করি।’

মীলাদ ও মীলাদুন নবী : ইসলাম কী বলে?

মীলাদ ও মীলাদুন নবী : ইসলাম কী বলে?

আমরা যারা বর্তমান সময়ের মুসলমান, ইসলামের প্রতি আমাদের মৌখিক ভালোবাসা যতোটা প্রগাঢ়; বাস্তবে তার প্রতি আমাদের অবহেলা তার চেয়েও অনেক গুণ বেশী। তাই আমরা ইসলামকে যতোটুকু ভালোবাসি, তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী তার বিধি-বিধান উপেক্ষা করি। আর এর অন্যতম কারণ হলো, দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা, আমাদের উদাসীনতা।

গান-বাজনা : শেষ এখানেই

গান-বাজনা : শেষ এখানেই

প্রারম্ভিক কথা:

কোন সুসংবাদ কিংবা দুঃসংবাদ শুনলে আপনার মুখ দিয়ে প্রথমে কি কি শব্দ বেরিয়ে আসে। সুবহান'আল্লহ্, আলহামদুলিল্লাহ্ কিংবা আল্লহু আকবার নাকি একগুচ্ছ ইংরেজী অশ্লীল শব্দগুচ্ছ। একটু খেয়াল করুন, যেখানে আপনি সম্পূর্ণ সচেতন আর সুস্থ মস্তিষ্কে আপনার মনন আর চিন্তাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হচ্ছেন না, সেখানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের কঠিন মুহূর্তে আপনি শাহাদাহ্ দিতে সমর্থ হবেন?

দাজ্জালের আগমন

দাজ্জালের আগমন



এ নশ্বর পৃথিবীর যেদিন ধ্বংস হবে, সেদিনের নাম ক্বিয়ামত। ক্বিয়ামত সংঘটিত হওয়ার দিনক্ষণ আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। তবে এর কিছু পূর্বলক্ষণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে দাজ্জালের আগমন অন্যতম। এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীছ।-

বিদায় হজ্জের ভাষণ

বিদায় হজ্জের ভাষণ

আরাফাতে অবস্থান ও ১ম ভাষণ :

৯ যিলহাজ্জ শুক্রবার সকালে তিনি মিনা হ’তে আরাফাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং ওয়াদিয়ে নামেরাহ’তে (وادي نمرة) অবতরণ করেন। যার একপাশে আরাফাত ও অন্যপাশে মুযদালিফাহ অবস্থিত। অতঃপর সূর্য ঢলে পড়লে তিনি ক্বাছওয়ার পিঠে সওয়ার হয়ে আরাফাত ময়দানের বাতনে ওয়াদীতে (بطن الوادي) আগমন করলেন। এটি ছিল একটি পাহাড়ী টিলা। যা জাবালে রহমত (جبل الرحمة) বলে খ্যাত। তার উপরে উটনীর পিঠে সওয়ার অবস্থায় তিনি সম্মুখে উপস্থিত ১ লক্ষ ২৪ হাযার অথবা ১ লাখ ৪৪ হাযার ভক্ত মুসলমানের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। আরাফাতের ময়দানের উক্ত ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেন,

মহান আল্লাহ্ তাআলা কোথায় আছেন?

মহান আল্লাহ্ তাআলা কোথায় আছেন?

আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্। তিনিই আমাদের একমাত্র রর এবং ইলাহ্। ইবাদত আরাধনার একমাত্র তিনিই যোগ্য। সুতরাং তাঁর সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান থাকা আমাদের জন্য ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। সেইসাথে তিনি কোথায় সে বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জনের মাধ্যমে আমরা তাঁর প্রতি একাগ্রচিত্তে ধাবিত হতে পারি এবং যথার্থরূপে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিখানো পদ্ধতীতে ইবাদত-বন্দেগি পালনে সক্ষম হই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, আমরা যার আদেশ পালন করি, যার কাছে দু’আ করি, যার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি, সব সময় যাকে মনে করি সেই পরম সত্ত্বার আসল অবস্থান সম্পর্কে আমরা অধীকাংশ সাধারণ মানুষই জানি না। মহান আল্লাহ্ কোথায়?

কিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ সমূহ

কিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ সমূহ

✔ "ধোঁয়া যা এক নাগারে চল্লিশদিন পূর্ব হতে পশ্চিম প্রাণ্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। 
✔ দাজ্জাল বের হবে। 
✔ চতুষ্পদ জন্তু বের হবে। 
✔ পশ্চিম আকাশ হতে সূর্য উদিত হবে। 
✔ ঈসা ইবনে মারইয়াম আকাশ হতে অবতরণ করবেন। 

কিছু প্রচলিত জাল ও ভিত্তিহীন হাদীস : পর্ব-২

কিছু প্রচলিত জাল ও ভিত্তিহীন হাদীস : পর্ব-২
× আশুরার দিনে বা রাতে বিশেষ সালাত।

× মধ্য শাবানের রাতে কিয়াম ও দিনে সিয়াম।

× প্রতিদিন ২০ বার মৃত্যুর স্মরণে শাহাদাতের মর্যাদা।

× কবর যিয়ারতের সময় সূরা ইয়াসীন পাঠ।

কিছু প্রচলিত জাল ও ভিত্তিহীন হাদীস : পর্ব-১

কিছু প্রচলিত জাল ও ভিত্তিহীন হাদীস : পর্ব-১

× আওলিয়া- এর অলৌকিক ক্ষমতা সত্য।

× ওলীগণ মরেন না।

× ওলীগণ কবরে সালাত আদায় রত।

× ওলীগণ আল্লাহর সুবাস।

সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

একে অপরকে জানিয়ে দিন যে আপনারা পরস্পরকে ভালোবাসেন।

একই সময়ে দু'জন রেগে যাবেন না।

সমালোচনা যদি করতেই হয় ভালোবাসা দিয়ে বলুন।

  পুরোনো ভুলগুলিকে তুলে আনবেন না।

আক্বীদাহ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাহ

আক্বীদাহ সংক্রান্ত কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাহ
১. প্রশ্ন: মহান আল্লাহ কোথায় অবস্থান করেন?

উত্তর: মহান আল্লাহ আরশে আযীমের উপর অবস্থান করেন। আল্লাহর কথাই এর দলীল। আল্লাহ তায়ালা বলেন:

﴿الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى﴾


অর্থ: ‘(তিনি আল্লাহ বলেন) পরম দয়াময় আরশের উপর সমুন্নীত রয়েছেন। [সূরা ত্বা-হা:৫]

হাদীসের উপর বিশ্বাস: সহীহ, যইফ, জাল কি গোলক ধাঁধা ?

হাদীসের উপর বিশ্বাস: সহীহ, যইফ, জাল কি গোলক ধাঁধা ?

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, হাদীসের সহীহ/ জাল কার কথার উপর ভিত্তি করে বিশ্বাস করবো? আর এগুলো কতোটা সত্য?

আর এই প্রশ্ন আমার মধ্যেও ছিলো। তবে আমি যতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি তার থেকেই বলার চেষ্টা করি। তবে এর পূর্বে খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাজ্গীর এর কিছু কথা:

'সমকামীতা' ও এর অতীত-ভবিষ্যত !

'সমকামীতা' ও এর অতীত-ভবিষ্যত !

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করছেন কেবল তাঁরই ইবাদাত করার জন্য এবং তার দেখানো সহজ-সরল পথ ইসলামকে মেনে চলার জন্য। তিনিই মহান আল্লাহ যিনি সৃষ্টি করছেন আমাদের আদি পিতা 'আদম (আ.)' ও আদি মাতা 'হাওয়া (আ.)' কে। এবং তাদের থেকেই সূত্রাপাত করেছেন এই মানব জাতির। তিনিই আল্লাহ যিনি পুরুষদের জন্য স্ত্রীর বৈধতা দিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে দিয়েছেন অপার ভালোবাসা। তিনিই একমাত্র আল্লাহ যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক ফোঁটা বীর্য থেক, অতঃপর সুবিন্যস্ত করেছেন বিভিন্ন আকার-আকৃতিতে। তিনিই আমাদের মধ্য থেকে নির্বাচন করেছেন যুগল নর ও নারী এবং দিয়েছেন বৈবাহিক ক্ষমতা।

'আহলে কুরআন' একটি ভ্রান্ত ফির্কা

'আহলে কুরআন' একটি ভ্রান্ত ফির্কা
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর । যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদাত করার জন্য । এবং আমাদের মধ্যে প্রেরণ করেছেন বহু নাবী -রাসূলগণ (আ.)। যারা আমাদেরকে ডেকেছেন সত্যের পথে, দেখিয়েছেন জান্নাতের পথ যেমনিভাবে আল্লাহ সুবাহানওয়া তা'আলা নির্দেশ দিয়েছেন । তাই তাদের প্রতি আমাদের দূরুদ ও সালামসহ আল্লাহর পক্ষ হতে যথাযোগ্য মর্যাদা পাওয়ার প্রার্থনা করি । আমীন ।

জ্ঞানের ফেরিওয়ালা

জ্ঞানের ফেরিওয়ালা


ন্টারনেটের বদৌলতে আজকাল জ্ঞান অর্জন করা যেমন সহজ, তেমনি জ্ঞান বিতরণও অনেক সহজ। হেন কোন বিষয় নাই, যা প্রফেসর গুগল জানেন না! কথার কথায় অনেকে তো এমনও বলে যে, “যা গুগলে নাই, তার অস্তিত্ব নাই।” কিছুটা হলেও কথাটা সত্য বটে।

নষ্ট সংস্কৃতি

নষ্ট সংস্কৃতি

আমরা এদেশেই গ্রামে জন্মেছি, এদেশেই বড় হয়েছি। হিন্দু-মুসলমান মিলিত যে গ্রাম ছোট বেলায় দেখেছি, সেই গ্রাম আজও দেখছি। নববর্ষ উদযাপন বা বৈশাখী মেলার নাম কখনো শুনিনি, দেখিনি বা আজও হয় না। আমরা জানতাম ‘মেলা’ হিন্দুরা করে। যদিও আমাদের গ্রামের হিন্দুদের বৈশাখী মেলা করতে দেখিনি। মুরববীরা বলতেন, মুসলমানদের মেলায় যেতে নেই। ভাদ্রের শেষ দিনে সাতক্ষীরার গুড়পুকুরের মেলায় বয়স্করা কেউ গেলেও লুকিয়ে-চুরিয়ে যেত। বাড়ী এসে ভয়ে মুখ খুলতো না।

সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে

সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবাহানওয়া তাআ'লার। যিনি এক ও অদ্বীতিয় এবং সমস্ত জাহানের মালিক ও একচ্ছিত্র ক্ষমতার অধিকারী।

আমাদের ঘর কি ইসলামী ঘর?

আমাদের ঘর কি ইসলামী ঘর?

আল্লাহ সুবহ়ানাহু ওয়া তা‘আলা বলেছেন, “আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের ঘরে বসবাসের ব্যবস্থা করেছেন...” [১]

প্রশ্নটা (শিরোনামটা) হয়তো শুনতে কিছুটা অদ্ভুত লাগতে পারে। অনেকে হয়তো শোনা মাত্রই বলে বসবেন, “আমার বাড়ি অবশ্যই ইসলামিক বাড়ি!! আমরা মুসলিম পরিবার, কাজেই আমাদের বাড়ি পুরোপুরি ইসলামিক!!” আসলেই কি? নিচে দেওয়া ছোট্ট চেকলিস্টের সাথে মিলিয়ে দেখুন তো আসলেই আপনার বাড়ি ইসলামিক কি না?

তাওহীদের ডাক (لا ﺍﻟﻪ ﺍﻟﺎ لله )

তাওহীদের ডাক (لا ﺍﻟﻪ ﺍﻟﺎ لله )

সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর জন্য, আমরা তারই প্রশংসা করি, তার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তার কাছেই ক্ষমা চাই। আর আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর নিকট আমাদের অন্তরসমূহের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং খারাপ আমলের পরিণতি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেবে তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করে তাকে সঠিক পথ দেখানোর কেউ নাই। আর আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নাই। তিনি একক তার কোন শরিক নাই। আর আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

কুর'আন থেকে ৪০ টি দু'আ

#১

رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

'Rabbana taqabbal minna innaka antas Sameeaul Aleem'

Our Lord! Accept (this service) from us: For Thou art the All-Hearing, the All-knowing [2:127]

পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ। (২: ১২৭)

কাউকে প্রশংসা করার মাসনুন জিকির ও প্রশংসিত হইলে মাসনুন জিকির

কাউকে প্রশংসা করার মাসনুন জিকির
কোন মানুষের পেছনে নিন্দা করা ও সামনে ঢালাওভাবে প্রশংসা করা উভয়ই অপরাধ। প্রশংসা করার ক্ষেত্রে কারো স্বভাব বা গুনের প্রশংসা করা যেতে পারে। তবে কারো ঢালাও প্রশংসা করতে নিষেধ করা হয়েছে।

কখন কি বলা সুন্নাত ?

১. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করে। -(বুখারীঃ ৫৩৭৬)

২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা। -(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)

নতুন কাপড় পরিধানের দো‘আ


الْحَمْدُ للَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا (الثَّوْبَ) وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّة

অর্থ: সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য; যিনি আমাকে এ (কাপড়)টি পরিধান করিয়েছেন এবং আমার শক্তি-সামর্থ্য ছাড়াই তিনি আমাকে এটা দান করেছেন।

টয়লেটে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া

●● টয়লেটে প্রবেশের সময় বলবে:

ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻧﻲ ﺍﻋﻮﺫﺑﻚ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﺒﺚ والخباءث

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।

হাঁচির দো‘আ

তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে বলবে,

الْحَمْدُ لِلَّهِ

অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র।

উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লা-হি।

ঝড়-তুফানের দু'আ

«اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْــــــأَلُكَ خَيْرَهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাহা ওা আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহা)।

“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর (ঝড় ও বাতাসের) কল্যাণটুকু চাই। আর আমি আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।”[1]

অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য দো‘আ

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺣَﻮَﺍﻟَﻴْﻨَﺎ ﻭَﻻَ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻵﻛَﺎﻡِ ﻭَﺍﻟﻈِّﺮَﺍﺏِ، ﻭَﺑُﻄُﻮﻥِ ﺍﻟْﺄَﻭْﺩِﻳَﺔِ، ﻭَﻣَﻨَﺎﺑِﺖِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮِ .

(আল্লা-হুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা ‘আলাইনা। আল্লা-হুম্মা আলাল-আ-কা-মি ওয়ায্যিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি ওয়ামানা-বিতিশ শাজারি)

“হে আল্লাহ! আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বর্ষণ করুন), আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)।”

- বুখারী ১/২২৪, নং ৯৩৩; মুসলিম ২/৬১৪, নং ৮৯৭

বৃষ্টি চাওয়ার কিছু দো‘আ

আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা মেঘের গর্জন শুনলে কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং এই দো‘আ পড়তেন 

اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثاً مُغِيثاً مَرِيئاً مَرِيعاً، نَافِعاً غَيْرَ ضَارٍّ، عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ

বাড়ি থেকে বের হওয়ার দু'আ

১/

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻮﻛﻠﺖ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻟﺎ ﺣﻮﻝ ﻭﻟﺎ ﻗﻮﺕ ﺍﻟﺎ ﺑﺎﻟﻠﻪ.

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি তাওয়ককালতু 'আলাল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহ ।

গৃহে প্রবেশকালে দু'আ




ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻟﺠﻨﺎ, ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺧﺮﺟﻨﺎ, ﻭﻋﻠﻰ ﺭﺑﻨﺎ ﺗﻮﻛﻠﻨﺎ.
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়াবিসমিল্লাহি খারাজনা, ওয়া 'আলা রাব্বিনা তাওয়াককালনা
অর্থ: আল্লাহর নামে আমরা প্রবেশ করি, আল্লাহর নামেই আমরা বের হই এবং আমাদের প্রভু আল্লাহর উপরই আমরা ভরসা করি । -(আবু দাউদ: ৪/৩২৫)

স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দু'আ

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

Rabbana Hablana min azwaajina wadhurriy-yatina, qurrata 'ayioni wa-jalna lil-muttaqeena Imaama.

রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াযিনা ওয়া জুররি-ইয়াতিনা, কুররাতা আ'ইয়ুনি ওয়াজআলনা লিল মুত্তাকীনা ইমান।

O my Lord! Grant unto us wives and offspring who will be the comfort of our eyes, and give us (the grace) to lead the righteous [25:74]

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (২৫: ৭৪)

কল্যাণ কামনার নামায ও দো‘আ

জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে প্রত্যেক কাজেই ইসতিখারা (তথা কল্যাণ কামনার নামায ও দো‘আ) শিক্ষা দিতেন, যেরূপ আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন।

বিবাহের পর নবদম্পতির জন্য দো‘আ

بَارَكَ اللهُ لَكُمَا وَبَارَكَ عَلَيْكُمَا وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِيْ خَيْرٍ-

উচ্চারণ: বা-রাকাল্লা-হু লাকুমা ওয়া বা-রাকা ‘আলাইকুমা ওয়া জামা‘আ বাইনাকুমা ফী খাইরিন।

কেউ দু'আ চাইলে যে দু'আ করবেন

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর খাদেম আনাস-এর জন্য তার মা উম্মে সুলায়েম দো‘আ চাইলে তিনি তার জন্য দো‘আ করেন,

اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আকছির মা-লাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বা-রিক লাহু ফীমা আ‘ত্বায়তাহু’

রোগী দেখতে গিয়ে দোয়া

●● রোগী দেখার সময় পড়তে হবেঃ

ﺍﺫﻫﺐ ﺍﻟﺒﺎﺱ ﺭﺏ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺍﺷﻒ ﺍﻧﺖ ﺍﻟﺸﺎﻓﻲ ﻟﺎﺷﻔﺎﺀ ﺍﻟﺎ ﺷﻔﺎﺋﻚ ﺷﻔﺎﺀ ﻟﺎﻳﻐﺎﺩﺭ ﺳﻘﻤﺎ

উচ্চারণঃ আজহিবিল বা-স্ রাব্বানা-সি ইশফি, আনতাশশা-ফি লা-শিফা-আ ইল্লা শিফা-আন লা ইয়ুগা-দিরু সুকমান ।

কবর যিয়ারতের দো‘আ

কবর যিয়ারতের দো‘আ:


السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ، مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، (وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتأْخِرِينَ) أَسْاَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ

মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ

মানুষের জন্য তিনটি কাজ তাড়াতাড়ি করা আবশ্যক। মৃতব্যক্তির দাফন-কাফন এ তিনটির একটি। যদি কোনো মানুষ মারা যায়, বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব দাফন-কাফন করা জরুরি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দাফনের পর মৃতব্যক্তির জন্য দোয়া করা আবশ্যক।

শরীরে কোনো ব্যথা অনুভব করলে যা করবে ও বলবে

আপনার দেহের যে স্থানে আপনি ব্যথা অনুভব করছেন, সেখানে আপনার হাত রেখে তিনবার বলুন,

بِسْمِ اللَّهِ

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ
আল্লাহর নামে।

আর সাতবার বলুন,

أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ

উচ্চারণ: আ‘ঊযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু।
এই যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহ্‌র এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

[মুসলিম ৪/১৭২৮, নং ২২০২]

অসুস্থ অবস্থায় দোয়া

●● আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই দোয়া বলতে শুনেছি, যখন তিনি (তাঁর মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে) আমার উপর ঠেস লাগিয়ে ছিলেন,

"আল্লা-হুম্মাগফিরলী অরহামনী ওয়াআলহিক্বনী বির্'রফিক্বীল আলা।"

« اَللهم اغْفِرْ لِي وارْحَمْنِي، وأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الأَعْلَى ». متفقٌ عَلَيْهِ

বাংলা অনুবাদঃ হে আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর এবং আমাকে মহান সাথীর সাথে মিলিত কর।

- [বুখারি ৪৪৫১, মুসলিম ২১৯২, তিরমিযি ৩৪৯৬, ইবন মাজাহ ১৬২০, আহমদ ২৩৬৯৬, ২৩৯৩৩, ২৪৩৭০, মুওয়াত্তা মালিক ৫৬২]

মজলিস শেষে দু'আ

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন কোন মজলিসে বসে, যাতে তার শোর-গোল বেশী হয়ে থাকে, তবে ঐ মজলিস থেকে উঠার পূর্বে যদি সে (নিম্নের দু‘আ) বলে তবে উক্ত মজলিসে তার স্বকৃত গোনাহসমূহকে মার্জনা করা হয়। (দু‘আটি নিম্নেররূপ)ঃ

سُبْحَانَكَ اللّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ

‘সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা অআতূবু ইলাইক্।’

ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আ

সাইয়িদুল ইস্তিগফার (সাইয়েদুল ইস্তেগফার) বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আ :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।

শাসকের অত্যাচারের ভয় করলে পড়ার দো‘আ


اللَّهُمَّ ربَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ، وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، كُنْ لِي جَاراً مِنْ فُلاَنِ بْنِ فُلاَنٍ، وَأَحْزَابِهِ مِنْ خَلاَئِقِكَ، أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ يَطْغَى، عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ


উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তিস সাব‘ঈ, ওয়া রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম। কুন লী জারান মিন্ ফুলানিবনি ফুলানিন, ওয়া আহযাবিহী মিন খালায়েক্বিকা, আঁই ইয়াফরুত্বা ‘আলাইয়্যা আহাদুম মিনহুম আও ইয়াত্বগা, আয্যা জা-রুকা, ওয়া জাল্লা সানা-উকা, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লা আনতা।

দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার দু'আ

দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার দু'আ 


أَعُوذُ بكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لاَ يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلاَ فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَبَرَأَ وَذَرَأَ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلاَّ طَارِقاً يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ

ঋণ মুক্তির জন্য দো‘আ


১/

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন।

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক।

- [তিরমিযী ৫/৫৬০, নং ৩৫৬৩; আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮০]

২/

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ


অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।

- [বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩]

ঋণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার দোয়া:


নবী (সাঃ) ঋণ হতে আল্লাহর নিকট বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থনা করতেন, যা দেখে এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেনঃ আল্লাহর রাসূল! আপনি ঋণ থেকে খুব বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থনা করেন?

নবী (সাঃ) বলেনঃ“মানুষ ঋণী হলে, যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করলে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে।” [বুখারী, অধ্যায়ঃ ইস্তিকরায, নং ২৩৯৭]

তাই তিনি (সাঃ) বলতেনঃ

১-” أللّهمَّ! إنّي أعوذُ بِكَ مِنَ الكَسَلِ والهَرَمِ والمأثَمِ والمَغْرَمِ” – رواه مسلم

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা! ইন্নী আউযুবিকা মিনাল্ কাসালি, ওয়াল্ হারামি, ওয়াল্ মা’ছামি, ওয়াল্ মাগ্রাম॥

অনুবাদঃ ‘‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি অলসতা, অধিক বার্ধক্য, গুনাহ এবং ঋণ হতে।” -[মুসলিম, অধ্যায়ঃ যিকর ও দুআ, নং৬৮৭১]

তিনি (সাঃ) আরো বলতেনঃ

২-” اللهم! إني أعوذ بك من الهم والحزن، والكسل، والبخل، والجبن، و ضلَع الدين، وغلبة الرجال” - رواه النسائي

উচ্চারণঃ “আল্লাহহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল্ হাম্মি ওয়াল্ হাযানি, ওয়াল্ আজ্যি ওয়াল্ কাসালি, ওয়াল্ বুখ্লি ওয়াল্ জুব্নি, ওয়া যালাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।”


অর্থ, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, চিন্তা-ভাবনা, অপারগতা,অলসতা, কৃপণতা এবং কাপুরুষতা থেকে। অধিক ঋণ থেকে এবং দুষ্ট লোকের প্রাধান্য থেকে।’ -[নাসাঈ, অধ্যায়ঃ ইস্তিআযাহ, নং ৫৪৭৮]

দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা ও বিপদাপদের দু'আ

সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নাবী (সাঃ) বিপদ-মসীবতের সময় এই দু’আ পাঠ করতেনঃ

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

‘‘আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোন মাবুদ নেই। তিনি অতি মহান, অতি সহনশীল। আল্লাহ্ ব্যতীত কোন সঠিক ইলাহ্ নেই। তিনি বিশাল আরশের মালিক। আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোন মাবুদ নেই। তিনি আসমান-যমীনের এবং মহান আরশের মালিক’’।[1]

লাইলাতুল ক্বদর ও বিশেষ দো'আ

লাইলাতুল ক্বদর অন্বেষণ করা :

এক শ্রেণীর মুসলমান মহিমান্বিত রজনী তথা ক্বদরের রাত হিসাবে ২৭শে রামাযানের রাতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং এই রাতে প্রতি মসজিদে মুছল্লীদের ঢল নামে। সারারাত্রি ছালাত আদায় করা হয়। এক শ্রেণীর আলেম সাধারণ মুসলমানের মধ্যে এ তারিখে ইবাদত করার বিষয়টি প্রচার করে থাকে এবং কেবল এই একটি রাতেই ছালাত আদায় ও কুরআন তেলাওয়াতের নির্দেশ দেয়, যা সঠিক নয়।

ইফতার পরবর্তী দু'আ

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে আআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইফতার করে বলতেন:

ﺫﻫﺐ ﺍﻟﻆﻣﺎ ﻭﺍﺑﺘﻠﺖ ﺍﻟﻌﺮﻭﻕ ﻭﺛﺒﺖ ﺍﻟﺎﺟﺮ ﺍﻥ ﺷﺎﺀ الله

উচ্চারণ: যাহাবায যামাউ ওয়াবাতাল্লাতিল উরুক্ব। ওয়া সাবাতাল আজরু ইন শা আল্লাহ্।

অর্থাৎ: তৃষ্ণা বিদূরিত হয়েছে, শিরা-উপশিরা আদ্র হয়েছে আর আল্লাহ্ চাইলে সওয়াব নির্ধারিত হয়েছে। -(আবু দাউদ, নাসাঈ)

বিতরের সালাতে পঠিতব্য দু'আ কুনূত

কুনূত (القنوت) :
 কুনূত’ অর্থ বিনম্র আনুগত্য। কুনূত দু’প্রকার। কুনূতে রাতেবাহ ও কুনূতে নাযেলাহ। প্রথমটি বিতর ছালাতের শেষ রাক‘আতে পড়তে হয়। দ্বিতীয়টি বিপদাপদ ও বিশেষ কোন যরূরী কারণে ফরয ছালাতের শেষ রাক‘আতে পড়তে হয়। বিতরের কুনূতের জন্য হাদীছে বিশেষ দো‘আ বর্ণিত হয়েছে।[1] বিতরের কুনূত সারা বছর পড়া চলে।[2] তবে মাঝে মধ্যে ছেড়ে দেওয়া ভাল। কেননা বিতরের জন্য কুনূত ওয়াজিব নয়। [3] দো‘আয়ে কুনূত রুকূর আগে ও পরে[4] দু’ভাবেই পড়া জায়েয আছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে,

ফরয সালাত শেষে পঠিতব্য দোয়া

সহীহ সুন্নাহ থেকে ফরজ সালাতের পর পঠিতব্য দুয়া ও জিকির সমূহ নিম্নে উপস্থাপন করা হল:

(১) - اَللهُ أَكْبَرُ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ-

উচ্চারণ : আল্লা-হু আকবার (একবার সরবে)। আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ (তিনবার)।

অর্থ : আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

সালাতের ভিতর পঠিতব্য দো'আ সমূহ

●● তাকবীরে তাহরীমার পর দো'আ:

১. «سبحانك اللهم وبحمدك وتبارك اسمك وتعالى جدك ولا إله غيرك»
(رواه مسلم)

উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তা‘আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুকা। (মুসলিম)

আযান, আযানের জবাব ও দোয়া

সংজ্ঞা : ‘আযান’ অর্থ, ঘোষণা ধ্বনি । পারিভাষিক অর্থ, শরী‘আত নির্ধারিত আরবী বাক্য সমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে ছালাতে আহবান করাকে ‘আযান’ বলা হয়।

আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘যখন তোমরা সালাতের দিকে আহবান কর, তখন তারা (মুশরিকরা) এ নিয়ে ঠাটা বিদ্রুপ ও কৌতুক করে। তা এ জন্য যে, তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা উপলব্ধি করে না’। - [সূরা মায়িদা : ৫৮]

রাসুল (সাঃ)-এর উপর দরুদ পড়ার ফযিলত

সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতের নির্দশন হিসেবে এসেছেন আল্লাহর শেষ রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.)। কুরআনে বলা হয়েছে,
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
অর্থ: আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)
সৃষ্টিজগতের জন্য রহমত রাসূল (সা.) এর প্রতি আল্লাহ নিজেও দরুদ ও সালাম পাঠান। পাশাপাশি মুমিনদেরকেও আল্লাহ এর নির্দেশ দিয়েছেন।

সকাল ও সন্ধ্যার আমল

●● সকাল ও সন্ধ্যার আমলঃ ১ - সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দু'আ (১ বার)

“সায়্যিদুল ইস্তিগফার” বা “ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দুয়া” নামে একটা দুয়া আছে – আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে কেউ যদি প্রতিদিন সকাল (ফযরের পরে) ও সন্ধ্যায় (আসর বা মাগরিবের পরে) পড়ে – আর সে ঐদিন মারা যায় – ইন শা’ আল্লাহ সে জান্নাতে যাবে। এই গ্যারান্টি দিয়ে গেছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। [বুখারী, তিরমিযী ৫/৪৬৬] [দুয়াটি পাবেন হিসনুল মুসলিম বইয়ের ১২৭ নাম্বার পৃষ্ঠাতে]

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাক্বতানি ওয়া আনা আ’বদুক, ওয়া আনা-আ’লা আহ’দিকা ওয়া-ওয়াদিকা মাস্তা-তোয়া’ত, আ’উযুবিকা মিন শাররি মা-ছানাআ’ত আবু-উ-লাকা বিনি’মাতিকা আলায়্যা ওয়া-আবু-উ-বি-যামবি, ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুযযুনুবা ইল্লা-আনতা। [বুখারী]

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার সাথে যে ওয়াদা করেছি তা পূরণ করার চেষ্টায় রত আছি, আমি আমার কর্মের অনিষ্ট থেকে পানাহ্ চাই, আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি তোমার প্রদত্ত নিয়ামতের কথা এবং আমি আরো স্বীকার করছি আমার পাপে আমি অপরাধী, অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নাই।

●● সকাল ও সন্ধ্যার আমলঃ ২ - কিয়ামতের দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি বা জান্নাত পাওয়ার জন্য সহজ আমল (৩ বার)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ (তাঁর বান্দাদের সাথে) ওয়াদা করেছেন যে, যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকালে ৩ বার ও সন্ধ্যায় ৩ বার এই দুআ পড়বে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন"। [হিসনুল মুসলিম, পৃষ্ঠা ১৩৮]

رَضِيْتُ بِاللهِ رَبـاًّ، وَبِاْلإِسْلاَمِ دِيْنـًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيـًّا

উচ্চারণঃ রদ্বীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বীনান, ওয়াবি মুহা’ম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামা নাবিয়্যান। (৩ বার)

অর্থঃ আমি আল্লাহকে রব হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবী হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট”।

[আহমাদঃ ১৮৯৬৭, নাসাঈ, ইবনুস সুন্নীঃ ৬৮, আবু দাউদঃ ১৫৩১, তিরমিযীঃ ৩৩৮৯। আব্দুল আজীজ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ এর ৩৯ পৃষ্ঠায় এই হাদীসকে “হাসান সহীহ” বলেছেন]

●● সকাল ও সন্ধ্যার আমলঃ ৩ – দুনিয়া ও আখেরাতের যেকোনো টেনশান বা দুঃশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমলঃ (৭ বার)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ৭ বার এই দুয়া পাঠ করবে আল্লাহ্‌ তার সকল চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মিটিয়ে দেবেন”। [হিসনুল মুসলিম ১৩২-১৩৩ নাম্বার পৃষ্ঠা। সুনান আবূ দাউদ, হাদীস ৫০৮১]

উল্লেখ্য এই দুয়াটা সুরা তাওবার সর্বশেষ ১২৯ নাম্বারে আয়াতে আল্লাহ তাআ’লা পড়ার জন্য বলেছেন।

حَسْبِيَ اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ

উচ্চারণঃ হা’সবিয়াল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা-হুয়া, আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রব্বুল আ’রশিল আ’যীম।

অর্থঃ আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোন মা’বুদ নাই, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করছি, তিনি মহান আরশের প্রভু।

●● সকাল ও সন্ধ্যার আমলঃ ৪ – চারজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব পাওয়ার আমলঃ (১০ বার)

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَـرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আ’লা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর’ দিনে দশবার পাঠ করবে, সে ব্যক্তি ইসমাইল (আঃ) বংশের চারজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব পাবে।" [সহীহ্ বুখারীঃ ৬৪০৪, মুসলিম ৪/২০৭১]

●● সকাল-সন্ধ্যার আমলঃ ৫ -আয়াতুল কুরসী পাঠ (১ বার)

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ "যে ব্যক্তি সকাল হওয়ার পর আয়াতুল কুরসী পড়বে, সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বিন বা শয়তানের কবল হতে সে হিফাযতে থাকবে। আর যদি সে সন্ধ্যা হওয়ার পর পাঠ করে, সকাল হওয়া পর্যন্ত সে জ্বীন বা শয়তানের কবল হতে হিফাযতে (নিরাপদে) থাকে।" -[নাসায়ী]

●● সকাল-সন্ধ্যার আমলঃ ৬ - "সূরা ইখলাছ, সূরা আল ফালাক্ব, সূরা আন-নাস পাঠ করা।" -(আবু দাউদ, তিরমিযী)

●● সকাল-সন্ধ্যার আমলঃ ৭ -"সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি" পাঠ করা । (১০০ বার) -[সহীহ মুসলিম]

যে ব্যক্তি সকালে ১০০ বার এবং সন্ধ্যায় ১০০ বার এই তাসবীহ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন তার চাইতে উত্তম আমল নিয়ে আর কেউ আসতে পারবে না। তবে, ঐ ব্যক্তি ব্যতীত, যিনি অনুরূপ তাসবীহ পাঠ করেছে অথবা তার চাইতে বেশি আমল করেছে।

সম্পর্কিত পোষ্টসমূহ