শাসকের অত্যাচারের ভয় করলে পড়ার দো‘আ


اللَّهُمَّ ربَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ، وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، كُنْ لِي جَاراً مِنْ فُلاَنِ بْنِ فُلاَنٍ، وَأَحْزَابِهِ مِنْ خَلاَئِقِكَ، أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ يَطْغَى، عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ


উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তিস সাব‘ঈ, ওয়া রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম। কুন লী জারান মিন্ ফুলানিবনি ফুলানিন, ওয়া আহযাবিহী মিন খালায়েক্বিকা, আঁই ইয়াফরুত্বা ‘আলাইয়্যা আহাদুম মিনহুম আও ইয়াত্বগা, আয্যা জা-রুকা, ওয়া জাল্লা সানা-উকা, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লা আনতা।

দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার দু'আ

দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার দু'আ 


أَعُوذُ بكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لاَ يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلاَ فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَبَرَأَ وَذَرَأَ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلاَّ طَارِقاً يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ

ঋণ মুক্তির জন্য দো‘আ


১/

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন।

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক।

- [তিরমিযী ৫/৫৬০, নং ৩৫৬৩; আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮০]

২/

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ


অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।

- [বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩]

ঋণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার দোয়া:


নবী (সাঃ) ঋণ হতে আল্লাহর নিকট বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থনা করতেন, যা দেখে এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেনঃ আল্লাহর রাসূল! আপনি ঋণ থেকে খুব বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থনা করেন?

নবী (সাঃ) বলেনঃ“মানুষ ঋণী হলে, যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করলে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে।” [বুখারী, অধ্যায়ঃ ইস্তিকরায, নং ২৩৯৭]

তাই তিনি (সাঃ) বলতেনঃ

১-” أللّهمَّ! إنّي أعوذُ بِكَ مِنَ الكَسَلِ والهَرَمِ والمأثَمِ والمَغْرَمِ” – رواه مسلم

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা! ইন্নী আউযুবিকা মিনাল্ কাসালি, ওয়াল্ হারামি, ওয়াল্ মা’ছামি, ওয়াল্ মাগ্রাম॥

অনুবাদঃ ‘‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি অলসতা, অধিক বার্ধক্য, গুনাহ এবং ঋণ হতে।” -[মুসলিম, অধ্যায়ঃ যিকর ও দুআ, নং৬৮৭১]

তিনি (সাঃ) আরো বলতেনঃ

২-” اللهم! إني أعوذ بك من الهم والحزن، والكسل، والبخل، والجبن، و ضلَع الدين، وغلبة الرجال” - رواه النسائي

উচ্চারণঃ “আল্লাহহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল্ হাম্মি ওয়াল্ হাযানি, ওয়াল্ আজ্যি ওয়াল্ কাসালি, ওয়াল্ বুখ্লি ওয়াল্ জুব্নি, ওয়া যালাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।”


অর্থ, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, চিন্তা-ভাবনা, অপারগতা,অলসতা, কৃপণতা এবং কাপুরুষতা থেকে। অধিক ঋণ থেকে এবং দুষ্ট লোকের প্রাধান্য থেকে।’ -[নাসাঈ, অধ্যায়ঃ ইস্তিআযাহ, নং ৫৪৭৮]

দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা ও বিপদাপদের দু'আ

সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নাবী (সাঃ) বিপদ-মসীবতের সময় এই দু’আ পাঠ করতেনঃ

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

‘‘আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোন মাবুদ নেই। তিনি অতি মহান, অতি সহনশীল। আল্লাহ্ ব্যতীত কোন সঠিক ইলাহ্ নেই। তিনি বিশাল আরশের মালিক। আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোন মাবুদ নেই। তিনি আসমান-যমীনের এবং মহান আরশের মালিক’’।[1]

লাইলাতুল ক্বদর ও বিশেষ দো'আ

লাইলাতুল ক্বদর অন্বেষণ করা :

এক শ্রেণীর মুসলমান মহিমান্বিত রজনী তথা ক্বদরের রাত হিসাবে ২৭শে রামাযানের রাতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং এই রাতে প্রতি মসজিদে মুছল্লীদের ঢল নামে। সারারাত্রি ছালাত আদায় করা হয়। এক শ্রেণীর আলেম সাধারণ মুসলমানের মধ্যে এ তারিখে ইবাদত করার বিষয়টি প্রচার করে থাকে এবং কেবল এই একটি রাতেই ছালাত আদায় ও কুরআন তেলাওয়াতের নির্দেশ দেয়, যা সঠিক নয়।

ইফতার পরবর্তী দু'আ

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে আআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইফতার করে বলতেন:

ﺫﻫﺐ ﺍﻟﻆﻣﺎ ﻭﺍﺑﺘﻠﺖ ﺍﻟﻌﺮﻭﻕ ﻭﺛﺒﺖ ﺍﻟﺎﺟﺮ ﺍﻥ ﺷﺎﺀ الله

উচ্চারণ: যাহাবায যামাউ ওয়াবাতাল্লাতিল উরুক্ব। ওয়া সাবাতাল আজরু ইন শা আল্লাহ্।

অর্থাৎ: তৃষ্ণা বিদূরিত হয়েছে, শিরা-উপশিরা আদ্র হয়েছে আর আল্লাহ্ চাইলে সওয়াব নির্ধারিত হয়েছে। -(আবু দাউদ, নাসাঈ)

বিতরের সালাতে পঠিতব্য দু'আ কুনূত

কুনূত (القنوت) :
 কুনূত’ অর্থ বিনম্র আনুগত্য। কুনূত দু’প্রকার। কুনূতে রাতেবাহ ও কুনূতে নাযেলাহ। প্রথমটি বিতর ছালাতের শেষ রাক‘আতে পড়তে হয়। দ্বিতীয়টি বিপদাপদ ও বিশেষ কোন যরূরী কারণে ফরয ছালাতের শেষ রাক‘আতে পড়তে হয়। বিতরের কুনূতের জন্য হাদীছে বিশেষ দো‘আ বর্ণিত হয়েছে।[1] বিতরের কুনূত সারা বছর পড়া চলে।[2] তবে মাঝে মধ্যে ছেড়ে দেওয়া ভাল। কেননা বিতরের জন্য কুনূত ওয়াজিব নয়। [3] দো‘আয়ে কুনূত রুকূর আগে ও পরে[4] দু’ভাবেই পড়া জায়েয আছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে,

ফরয সালাত শেষে পঠিতব্য দোয়া

সহীহ সুন্নাহ থেকে ফরজ সালাতের পর পঠিতব্য দুয়া ও জিকির সমূহ নিম্নে উপস্থাপন করা হল:

(১) - اَللهُ أَكْبَرُ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ-

উচ্চারণ : আল্লা-হু আকবার (একবার সরবে)। আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ (তিনবার)।

অর্থ : আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

সম্পর্কিত পোষ্টসমূহ