২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা। -(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)
৩. কারো হাঁচি আসলে ''আলহামদু লিল্লাহী 'আলা কুল্লী হা-ল'' বলা। -(আত তিরমিযীঃ ২৭৪১)
৪. কোন হাঁচি দাতা 'আলহামদুলিল্লাহ' বলতে শুনলে- 'ইয়ারহামুকাল্লাহ' বলা। -(বুখারীঃ ৬২২৪)
৫. আল্লাহ তা'আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে 'আল্লাহু আকবর' বলা। স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে 'সুবহানাল্লাহ' বলা। -(বুখারীঃ ৬২১৮)
৬. ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে 'মা-শা আল্লাহ' বলা। -(মুসলিমঃ ৩৫০৮)
৭. ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে 'ইন শা আল্লাহ' বলা। -(আল কাহাফঃ ২৩-২৪)
৮. কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে "না'উজু বিল্লাহ" বলা। -(বুখারীঃ ৬৩৬২)
৯. কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে 'ইন্না লিল্লাহ' বলা। --(মুসলিমঃ ২১২৬)
১০. কথা প্রসঙ্গে কোন গুনাহর কথা বলে ফেললে, 'আস্তাগফিরুল্লাহ' বলা। -(সূরা মুহাম্মদঃ ১৯)
১১. উপরে উঠার সময় 'আল্লাহু আকবার' বলা এবং নিচে নামার সময় 'সুবহানাল্লাহ' বলা। -(বুখারীঃ ২৯৯৩)
১২. নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে 'ওয়াল্লাহু আলুম' বলা। -(বুখারীঃ ৫৫৭০)
১৩. কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন কাজ হলে তার বদলে 'জাযাকাল্লাহু খাইরান' বলা। -(বুখারীঃ ৩৩৬)
১৪. কোন কিছু জবেহ করার সময় 'বিসমিল্লাহী ওয়া আল্লাহু আকবর' বলা। -(মুসলিমঃ ৫০৮৮)
১৫. কোন বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায় শ্লোগান দিলে 'আল্লাহু আকবর' বলা। -(বুখারীঃ ৬১০)
বাসা-বাড়ির ব্যাপারে সুন্নাত আমলসমূহ
১. বাড়িঘর ও আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। -(সহীহাঃ ২৩৬)
২. ঘরের আসবাব-পত্র সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা। -(তিরমিযীঃ ১৯৯৯)
৩. বাসা-বাড়ি থেকে বাহিরে যাওয়ার সময় বাসা-বাড়ির লোকদেরকে সালাম দিয়ে বেড় হওয়া । -(মিশকাতুল মাছ্বাবীহঃ ৪৬৫১)
৪. বেড় হওয়ার সময় দোয়া (বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা-হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ) পড়া। -(আবু দাউদঃ ৫০৯৫)
৫. বাসা-বাড়িতে প্রবেশ করার সময় 'বিসমিল্লাহ' বলে প্রবেশ করা। -(মুসলিমঃ ৫২৬২)
৬. ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে সালাম দেয়া। -(মিশকাতুল মাছ্বাবীহঃ ৪৬৫১)
পানাহারের সময় পালনীয় কিছু সুন্নাত
১. ডান হাতে পানাহার করা এবং 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করা। -(তিরমিযীঃ ১৮৫৭)
২. পৃথক পৃথক খাওয়ার চেয়ে একত্রে মিলে খাওয়া। -(ইবনে মাজাহঃ ৩২৮৬)
৩. খাওয়ার সময় কোন খাদ্যকণা নিচে পড়লে তা (পরিষ্কার করে) খেতে সংকোচবোধ না করা। -(তিরমিযীঃ ১৮০২)
৪. মালিক কর্মচারী একসাথে খাওয়া। -(ইবনে মাজাহঃ ৩২৮৯)
৫. খাবার শেষে হাতের আঙ্গুল ও খাবার প্লেট চেটে খাওয়া। -(মুসলিমঃ ৫৩০০)
৬. যেকোনো পানীয় অল্প অল্প করে তিন ঢোকে পান করা। -(মুসলিমঃ ৫২৮৭)
৭. দুধ পান করে কুলি করা। -(সহীহাঃ ১৩৬১)
৮. পেয়ালার মধ্যখান থেকে খাবার শুরু না করা ল। -(সহীহাঃ ১৫৮৭)
৯. পানাহার শেষে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা। -(তিরমিযীঃ ১৮১৬)
১০. সম্মিলিতভাবে পানাহারের সময় পরিবেশনকারী ডান দিক থেকে পরিবেশন করা। -(মুসলিমঃ ৫২৯১)
১১. রাত্রে পানাহারের পর 'বিসমিল্লাহ' বলে ঢেকে রাখা। -(বুখারীঃ ৫৬২৩)
১২. বাম হাতে পানাহার না করা। -(মুসলিমঃ ৫২৬৭)
১৩. বিনা অজুহাতে দাঁড়িয়ে পানাহার না করা। -(মুসলিমঃ ৫২৬৭)
১৪. সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার না করা। -(আবু দাউদঃ ৩৭২৩)
১৫. পানীয় বস্তুতে ফুঁক না দেওয়া। -(মুসলিমঃ ৫২৮৫)
১৬. ভাঙ্গা পাত্রে পানাহার না করা। -(আবু দাউদঃ ৩৭২২)
১৭. বিনা দাওয়াতে কোন অনুষ্ঠানে আহার না করা। -(তিরমিযীঃ ১০৯৯)
শয়নকালে পালনীয় ১০ টি সুন্নাত
১. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া। -(বুখারী: ৬৩২০)
২. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করা। -(বুখারী: ৫৬২৩)
৩. শয়নের সময় দু'আ পাঠ করা (যেমন, 'আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ'মুতু ওয়া আহইয়া')। -(বুখারী: ৬৩১৪)
৪. ডান কাৎ হয়ে শোয়া । -(বুখারী" ৬৩১৫)
৫. নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে হলে শরীরের নাপাক স্থান ধুয়ে অযু করে নেয়া। -(বুখারী: ২৮৮)
৬. সাধারণত সতর খুলা অবস্হায় না শোয়া। -(তিরমিযী: ২৭৬৯)
৭. বিনা কারণে উপুড় হয়ে না শোয়া। -(তিরমিযী: ২৭৬৮)
৮. ঘুমানোর সময় আগুনের বাতি জ্বালিয়ে না রাখা। -(তিরমিযী: ১৮১৩)
৯. দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া। -(মুসলিম: ৫৯০১)
১০. দুঃস্বপ্ন দেখলে প্রথমে বাম দিকে তিনবার থুথু ছিটা এবং "দুঃস্বপ্ন ও শয়তান থেকে -হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই" এভাবে তিনবার বলা । দুঃস্বপ্ন কাউকে না বলা। -(মুসলিম: ৫৯০২)
No comments:
Post a Comment