মিসওয়াক (দাঁতন) করার গুরুত্ব:



প্রিয় নবী (সা:) বলেন, "আমি উম্মতের জন্য কষ্টকর না জানলে এশার নামাজকে দেরী করে পড়তে এবং প্রত্যেক নামাজের পূর্বে দাঁতন (মিসওয়াক) করতে আদেশ দিতাম।" -(বুখারী, মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৩৭৬)

তিনি আরো বলেন: "আমি আমার উম্মতের পক্ষে কষ্টকর না জানলে (প্রত্যেক) ওযুর সাথে দাঁতন (মিসওয়াক) করা ফরয করতাম এবং এশার নামাজ অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে পড়তাম।" -(হাকেম, বাইহাকী, সহীহুল জামে' ৫৩১৯)

তায়াম্মুম কি, কেন ও কিভাবে ?



তায়াম্মুম:
তায়াম্মুমের নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা নিজেই দিয়েছেন:

"যদি তোমরা অসুস্থ হও অথবা সফরে থাকো, কিংবা তোমাদের মধ্যে কেউ পায়খানা করে আসে অথবা তোমরা স্ত্রী সঙ্গম কর, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে পাক মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও; তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতকে মাটি দ্বারা মাসাহ কর....।" -(সূরা আল মায়িদাহ: ৬)

যে কারণে অন্তর কঠিন হয়ে যায়



১. আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করা:

মানুষ যখন আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করে তখন তার অন্তর কঠিন হয়ে যায়। মানুষের চারদিকে এমনকি তাদের নিজেদের মধ্যেও আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শন বিদ্যমান। কেউ কোনো পাপে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে এবং পরে আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক সতর্কতামূলক নিদর্শন দেখান। পাপটি করার পূর্বে তার সহজাত সত্তা তাকে বাঁধা দেয়। তারপরও যদি ব্যক্তি সেটাকে অগ্রাহ্য করে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদের আশেপাশের অনেক ছোট বড় নিদর্শনের দ্বারা তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। আর তারপরও যদি সে পাপ কাজটি করে ফেলে; তাহলে আল্লাহ তায়ালা এরপরেও তাকে বিভিন্ন নিদর্শন দেখান যেন সে তওবা করে ফিরে আসে। এরপরও সেই ব্যক্তি যখন আল্লাহর সকল নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে পাপের উপর অটল থাকে, তখন আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরকে কঠিন করে দেন।

প্রচলিত লটারিতে অংশগ্রহণ কি বৈধ? এর পুরষ্কার কি হালাল ?



লটারি জুয়ার পর্যায়ভুক্ত। সুতরাং পুরষ্কারের লোভে তার টিকেট কেনা হারাম, তার পুরষ্কারও হারাম। আর হারাম দিয়ে কোন ভাল কাজের প্রতিযোগিতা করা প্রস্রাব দিয়ে পায়খানা ধোওয়ার মতো। মহান আল্লাহ বলেছেন,

হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণয়ক শর ঘৃন্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন কর। এতে তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহ্‌র স্মরণে ও নামাযে বাঁধা দিতে চায়। অতএব তোমরা কি নিবৃত হবে? (সূরা মাইদাহ ৯১-৯১ আয়াত)”

যাদু-টোনা থেকে বাঁচার উপায় কি ?



প্রশ্ন: যিনি বিদ্বেষন, বশীকরণ বা অন্য কোন যাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত তার চিকিৎসার উপায় কি? মুমিন ব্যক্তি যাদুটোনা থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন অথবা কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে যাদুটোনা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কুরআন ও হাদিসে এ সম্পর্কিত কোন দুআ-দরুদ বা যিকির-আযকার আছে কি?

উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য

যাদুটোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে:

'ভ্যালেন্টাইন ডে' -একটু ব্যবচ্ছেদ প্রয়োজন!



শুরুর কথা:
২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)

সম্পর্কিত পোষ্টসমূহ