আমার স্বপ্নপূরণের একমাত্র পাথেয়



সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ সুবহানওয়া তা'আলার, যিনি আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যিনি আমার অন্তরে আশা জাগিয়েছেন । আর শান্তি অবতীর্ণ হোক সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর অনুসারীদের উপর ।

সাধারণত প্রতিটা মানুষই তার নিকট ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে । আর এই স্বপ্ন বিভিন্নজনের নিকট বিভিন্ন রকম হয় । যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা থাকে অপূরণীয় ও অবাস্তব । কিন্তু কেউ যদি জানতে পারে তার দেখা সবচেয়ে আনন্দময় স্বপ্নটি কিছুক্ষণ পর বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে, তাহলে তাঁর পক্ষে খুশি না হয়ে উপায় নেই । বরং সে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল একজন ব্যক্তি বলে দাবি করতেও কুণ্ঠিত হবে না । 

আমি আমার জীবনের উদ্দেশ্যকে খুঁজে পেয়েছি



সকাল ৮:৪০, অথচ এখনো আমি দাত ব্রাশ করছি। ৯ টায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে, তাই তাড়াহুড়ো করে নাস্তা না করেই বাসা থেকে বের হয়ে পড়েছি যেকোন ভাবেই ক্লাস ধরতে হবে । একটা ক্লাস মিস হয়ে গেলেই যে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে!

দুপুর ২:৩০, ক্লাস থেকে এসে কোনরকম দুপুরের খাবার শেষ করলাম মাত্র। এখনি বের হতে হবে। বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ২ টা প্রাইভেট টিচারের কাছে পড়তে হবে।

মিসওয়াক (দাঁতন) করার গুরুত্ব:



প্রিয় নবী (সা:) বলেন, "আমি উম্মতের জন্য কষ্টকর না জানলে এশার নামাজকে দেরী করে পড়তে এবং প্রত্যেক নামাজের পূর্বে দাঁতন (মিসওয়াক) করতে আদেশ দিতাম।" -(বুখারী, মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৩৭৬)

তিনি আরো বলেন: "আমি আমার উম্মতের পক্ষে কষ্টকর না জানলে (প্রত্যেক) ওযুর সাথে দাঁতন (মিসওয়াক) করা ফরয করতাম এবং এশার নামাজ অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে পড়তাম।" -(হাকেম, বাইহাকী, সহীহুল জামে' ৫৩১৯)

তায়াম্মুম কি, কেন ও কিভাবে ?



তায়াম্মুম:
তায়াম্মুমের নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা নিজেই দিয়েছেন:

"যদি তোমরা অসুস্থ হও অথবা সফরে থাকো, কিংবা তোমাদের মধ্যে কেউ পায়খানা করে আসে অথবা তোমরা স্ত্রী সঙ্গম কর, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে পাক মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও; তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতকে মাটি দ্বারা মাসাহ কর....।" -(সূরা আল মায়িদাহ: ৬)

যে কারণে অন্তর কঠিন হয়ে যায়



১. আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করা:

মানুষ যখন আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করে তখন তার অন্তর কঠিন হয়ে যায়। মানুষের চারদিকে এমনকি তাদের নিজেদের মধ্যেও আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শন বিদ্যমান। কেউ কোনো পাপে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে এবং পরে আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক সতর্কতামূলক নিদর্শন দেখান। পাপটি করার পূর্বে তার সহজাত সত্তা তাকে বাঁধা দেয়। তারপরও যদি ব্যক্তি সেটাকে অগ্রাহ্য করে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদের আশেপাশের অনেক ছোট বড় নিদর্শনের দ্বারা তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। আর তারপরও যদি সে পাপ কাজটি করে ফেলে; তাহলে আল্লাহ তায়ালা এরপরেও তাকে বিভিন্ন নিদর্শন দেখান যেন সে তওবা করে ফিরে আসে। এরপরও সেই ব্যক্তি যখন আল্লাহর সকল নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে পাপের উপর অটল থাকে, তখন আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরকে কঠিন করে দেন।

প্রচলিত লটারিতে অংশগ্রহণ কি বৈধ? এর পুরষ্কার কি হালাল ?



লটারি জুয়ার পর্যায়ভুক্ত। সুতরাং পুরষ্কারের লোভে তার টিকেট কেনা হারাম, তার পুরষ্কারও হারাম। আর হারাম দিয়ে কোন ভাল কাজের প্রতিযোগিতা করা প্রস্রাব দিয়ে পায়খানা ধোওয়ার মতো। মহান আল্লাহ বলেছেন,

হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণয়ক শর ঘৃন্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন কর। এতে তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহ্‌র স্মরণে ও নামাযে বাঁধা দিতে চায়। অতএব তোমরা কি নিবৃত হবে? (সূরা মাইদাহ ৯১-৯১ আয়াত)”

যাদু-টোনা থেকে বাঁচার উপায় কি ?



প্রশ্ন: যিনি বিদ্বেষন, বশীকরণ বা অন্য কোন যাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত তার চিকিৎসার উপায় কি? মুমিন ব্যক্তি যাদুটোনা থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন অথবা কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে যাদুটোনা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কুরআন ও হাদিসে এ সম্পর্কিত কোন দুআ-দরুদ বা যিকির-আযকার আছে কি?

উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য

যাদুটোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে:

'ভ্যালেন্টাইন ডে' -একটু ব্যবচ্ছেদ প্রয়োজন!



শুরুর কথা:
২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)

জ্বীনদের প্ররোচনা



নামাযে, ওজুতে ও অন্যান্য কাজের সময় সে সব শয়তান ও জীন আমাদের প্ররোচনা দেয় তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও বেচে থাকার উপায় !


জিনদের নাম, পরিচয় ও তাদের কাজঃ

১. ‘ইবলিস’ – আদম (আঃ) কে ওয়াসওয়াসা দিয়ে যেই জিন আল্লাহর আনুগত্য থেকে তাকে বিচ্যুত করেছিল – তার নাম হচ্ছে ইবলিস। আল্লাহ তাকে সরাসরি আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, সে হচ্ছে প্রথম জিন যেমন আদম (আঃ) হচ্ছেন প্রথম মানুষ। আদম (আঃ) কে সিজদা করতে অস্বীকার করে সে আল্লাহর সামনে অহংকার প্রদর্শন করে – এই কারণে সে ‘কাফের’ হয়ে চির জাহান্নামী ও আল্লাহর অভিশপ্রাপ্ত। তার সন্তানদের কেউ ঈমানদার মুসলিম, আবার কেউবা কাফের, তাদের পিতা ইবলিসের অনুসারী। যারা কাফের জিন, তাদেরকে সাধারণভাবে ‘শয়তান’ বলা হয়।

নির্বাচিত ১০০ হাদীস



১/১০০. হযরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন:

"ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত (এগুলো হল) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, সালাত আদায় করা, যাকাত আদায় করা, হজ্জ আদায় করা এবং রমাযানের ছিয়াম পালন করা।"

কুর'আনের কিছু আয়াত



এখানে এমন কিছু কুর'আনের আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো আমাদের অন্তরকে শীতল করবে এবং পরকালীন প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে । (ইন শা আল্লাহ্)

"আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।" -(সূরা ফাতিহা, আয়াত: ৫-৭)

উপলব্ধি: আল-কোরআনের বৈপরীত্য – বাস্তবিক নাকি মতিভ্রম?



সেদিন বৃহস্পতিবার। যথারীতি বিকেল পাঁচটায় ক্লাস শেষ হল। ভেবেছিলাম আসরের সালাত আদায় করে ফারিসকে নিয়ে বেড়াতে যাব। কিন্তু তা আর হলো না। সালাত আদায় করে সবেমাত্র বেরিয়েছি এমন সময় বৃষ্টি শুরু হল। মিনিট পাঁচেক হাঁটার পর দেখলাম বৃষ্টির মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলছে। দৌড়ে আমরা পাশের যাত্রী ছাউনীতে গিয়ে উঠলাম। তুমুল বৃষ্টি শুরু হল। যাত্রী ছাউনীতে আমাদের সাথে আরও বেশ ক’জন লোক ছিল।

কুরআনে কি আসলেই স্ববিরোধিতা (contradiction) আছে?



#নাস্তিক_প্রশ্নঃ আল্লাহর একদিন মানুষের কয়দিনের সমান? – ১০০০ বছর (Quran 22:47) নাকি ৫০০০০ বছর (Quran 70:4) !

#উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলো নিচে উল্লেখ করা হল।

"তারা তোমাকে[মুহাম্মাদ(ﷺ)] আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। তোমার প্রভুর কাছে একদিন তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমান। "
(কুরআন, হাজ্জ ২২:৪৭)

উমর (রা) কে নিয়ে একটি জঘন্য মিথ্যাচার – মুসলিমরা কি আসলেই আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরী পুড়িয়েছিল?



মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) তখন মিশর জয় করেছিলেন। মিশরের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন সাহাবী আমর্ ইবনুল আ'স (রা)।

সাবআতুল আহরুফ’ [৭টি উপভাষা / 7 Dialects] কি কুরআনের একাধিক ভার্শন?



অনেকেই সাবআতুল আহরুফ বা কুরআনের ৭ হরফ (7 dialects) নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন এবং অভিযোগ করে থাকেন এটা নাকি কুরআনের বিভিন্ন ভার্শন বা সংস্করণ(নাউযুবিল্লাহ)। অনেক সময়ে খ্রিষ্টান মিশনারী কিংবা নাস্তিক মুক্তমনারা বিভিন্ন জায়গায় প্রাপ্ত প্রাচীন কুরআনের কপির কথা প্রচার করেন যেগুলোতে কিছু শব্দ ও বাক্য বর্তমানে প্রচলিত কুরআনের থেকে কিছুটা ভিন্ন। এভাবে তারা আল কুরআনের সংরক্ষণ ও সঙ্কলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, তারা বলতে চান যে কুরআন ঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়নি এবং সাহাবীগণ আল কুরআনকে পরিবর্তন করে ফেলেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। আসুন এইসব অভিযোগের স্বরুপ সন্ধানে যাওয়া যাক।

ইসলাম কি ছোঁয়াচে রোগের অস্তিত্ব অস্বীকার করে?



আল্লাহর সৃষ্টি এ পৃথিবীতে নানা উপকারী নিয়ামতের পাশাপাশি আছে বহু রোগ-ব্যাধি, অসুখ-বিসুখ। ইসলামবিরোধীরা দাবি করে যে, রোগ সংক্রমণ সম্পর্কে নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) এর হাদিসের বক্তব্য বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। এ দাবি প্রমাণের জন্য তারা কিছু হাদিস দেখায়। ---

আনাস(রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী(ﷺ) বলেছেন, ‘‘রোগের সংক্রমণ ও অশুভ লক্ষণ বলতে কিছুই নেই। তবে শুভ লক্ষণ মানা আমার নিকট পছন্দনীয়।”
[লোকেরা] বলল, শুভ লক্ষণ কী?
তিনি বললেন, উত্তম বাক্য।’’ 
[সহীহ বুখারী ৫৭৭৬, সহীহ মুসলিম ৫৯৩৩-৫৯৩৪]

ধর্মের কি দরকার? মানবতাবাদীতাই কি শ্রেষ্ঠ ধর্ম না?



প্রশ্ন ১:

আচ্ছা ধর্মের দরকার কি আমি এটাই বুঝি না। সেই প্রাচীন যুগ তো এখন আর নাই। এখন আমরা সভ্য, বুদ্ধিমান প্রানী। মানবতাবাদীতাই কি শ্রেষ্ঠ ধর্ম না?


উত্তর:

মানবতাবাদীতে কেন শ্রেষ্ঠ ধর্ম না তার অনেকগুলো কারণ আছে, নিচের তার কয়েকটি উল্লেখ করছি।

সত্যিই যদি আল্লাহ থাকে তাহলে পৃথিবীতে এতো দুঃখ, কষ্ট কেন? পর্ব ২



প্রথম পর্বে আমি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিঃ

আল্লাহ আমাকে কেন বানিয়েছে? আমি কি আল্লাহকে বলেছিলাম আমাকে বানাতে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীতে পাঠাবার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করল না কেন আমি এরকম জীবন চাই কিনা? আল্লাহ কেন আমাকে এতো কষ্টের জীবন দিল, যেখানে অন্যরা কত শান্তিতে আছে? আমি কি বলেছিলাম আমাকে এতো কষ্ট দিতে? আল্লাহ আমাকে মেয়ে বানালো কেন, আমিতো মেয়ে হতে চাইনি? আল্লাহ আমাকে কালো কিন্তু অন্যদেরকে ফর্সা বানাল কেন, এটা তো ঠিক হল না? আমি খাট কেন, লম্বা না কেন? আমার কপালে এরকম শয়তান স্বামী পড়ল কেন? আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ি, রোযা রাখি, কোনদিন ঘুষ খাইনি, কিন্তু তারপরেও আমার ক্যান্সার হল কেন?

আল্লাহ কেন এরকম করলো? আল্লাহ থাকতে এসব হয় কিভাবে? পর্ব ১



আল্লাহ আমাকে কেন বানিয়েছে? আমি কি আল্লাহকে বলেছিলাম আমাকে বানাতে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীতে পাঠাবার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করল না কেন আমি এরকম জীবন চাই কিনা? যারা এধরনের প্রশ্ন করে তাদেরকে আপনি যদি একটা যুক্তিযুক্ত উত্তর দেনও, সাথে সাথে তারা প্রশ্ন করবেঃ “আল্লাহ কেন আমাকে এতো কষ্টের জীবন দিল, যেখানে অন্যরা কত শান্তিতে আছে? আমি কি বলেছিলাম আমাকে এতো কষ্ট দিতে?”

ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ কেন?



স্মরণাতীত কাল থেকে বিশ্বমানবতার জন্য ‘এলকোহল’ তীব্র যন্ত্রনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। মদ অসংখ্য অগুনতী মানুষের অকাল মৃত্যুর কারণ এবং বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের ভয়ঙ্কর দুর্দশার কারণ। মানুষের সমাজে অসংখ্য সমস্যার নেপথ্যে আসল হেতু এই ‘এলকোহল’ বা মদ। অপরাধ প্রবনতার তীব্র উর্ধগতী, ক্রমবর্ধমান মানসিক বিপর্যয় এবং কোটি কোটি ভাঙ সংসার জীবন্ত প্রমাণ বহর করছে বিশ্ব জুড়ে এলকোহলের নিরব ধ্বংসযজ্ঞের তান্ডবলীলা কি ভাবে চলছে।

শুকরের মাংস নিষিদ্ধ কেন?



এটা সর্বজন বিদিত যে, শুকুরের মাংস ভক্ষণ ইসলামে নিষিদ্ধ। নিম্নে বর্ণিত বিষয়গুলো এই নিষিদ্ধতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরবে।

ক. কুরআনে শুকুরের মাংস নিষিদ্ধতা

শুকুরের মাংস খাওয়া নিষেধঅন্তত চারটি স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে ২:১৭৩, ৫:৩, ৬:১৪৫, এবং ১৬:১১৫।

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব – পর্ব ২




৯. মুসলমানরা কা’বার পূজা করে

প্রশ্ন: ইসলাম যেখানে আকার বা মূর্তি পূজাকে প্রত্যাখ্যান করে সেখানে তারা নিজেরাই কেন তাদের প্রার্থনায় কাবার প্রতি নত হয়ে তার উপাসনা করে?

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব – পর্ব ১


ভূমিকা

মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান একটি অর্পিত দায়িত্ব।
মুসলিম জাতির সচেতন অংশ খুব ভালো করেই জানেন যে, ইসলাম একটি বিশ্বজনীন জীবন ব্যবস্থা, যা গোটা মানব জাতির জন্য দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা সমগ্র সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক এবং তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পিত মানুষ, অর্থাৎ‘মুসলিম’-তাদেরকে বাছাই করে নির্বাচন করা হয়েছে, মানব জাতির প্রতিটি সদস্যের কাছে তাঁর বাণী যথাযথভাবে পৌঁছে দেবার দায়িত্বশীল করে।

এই SMS/ ইমেইল পরিচিত দশ জনকে পাঠান, আপনার উন্নতি হবে, এগুলোর কোন ভিত্তি নেই!



বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

প্রথমত, প্রায়ই কিছু SMS এর কথা শুনতে পাই/দেখি যা সত্য/মিথ্যা মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় এরপর ৭/১০ জনকে পাঠতে বলা হয় আর এটাও বলা হয় যে এতে কিছুদিনের কিংবা দুইদিনের মধ্যে সে সুসংবাদ শুনবে কিংবা তার উন্নতি হবে। দ্বীন সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা না থাকার কারণে অনেকে আবেগ প্রবন হয়ে সরল বিশ্বাসে SMS গুলো পাঠিয়ে থাকেন।

এক কঠিন আত্মোপলব্ধিঃ আমি কি আসলেই মুসলমান



আমরা আসলে সবাই এক সেলুকাসের দুনিয়ায় বাস করি ।কেন কথাটা বললাম কারণ আমরা সারাদিন যা বলি বা বিশ্বাস করি বাস্তবে তা করার জন্য তেমন আগ্রহী না ।আমরা সবাই জানি একদিন মরতে হবে , কিয়ামত আছে,হাশর আছে,জান্নাত আছে , জাহান্নাম আছে,আখিরাতের জীবন অনন্ত কালের সেখানে কোন মৃত্যু নাই। কিন্ত আমাদের কাজ বা আচরণে তা প্রকাশ পায় না । কেউ যদি ব্যবসায়ী বা খেলোয়াড় হয় তাহলে সে সারাদিন তার কাজ নিয়ে কথা বলে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে । ব্যবসায়ী কখনো এমন কাজে সময় নষ্ট করে না যার ফলে ব্যবসার ক্ষতি হয় তেমনি খেলোয়াড় সারাদিন খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং তার সমস্ত চিন্তা ঐ কাজে ব্যইয় করে ।সুতরাং মানুষ যা বিশ্বাস করে তার কাজ কর্মে তার প্রতিফলন ঘটে।

আত্মগঠন



মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন: “বরং মানুষ তার নিজের উপর দৃষ্টিমান। যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করে থাকে।” [সূরা কিয়ামাহ:১৪-১৫]

আল্লামা ইবনু কাছির (রহ.) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন: প্রতিটি মানুষই নিজের ব্যাপারে সাক্ষী, নিজ কর্ম সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত, অস্বীকার করুক কিংবা অজুহাত পেশ করুক। [তাফসির ইবনু কাছির, ৪/৪৪৯]

দৈনন্দিন জীবনে কুরআন



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আমাদের আজকের আয়োজন মহাগ্রন্থ কুরআন আল–কারীম থেকে নেয়া কিছু অমিয় উপদেশবাণী। এই উপদেশবাণীগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট। আসুন, আমরা আমাদের প্রতিপালক, আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দেয়া উপদেশ গ্রহণ করে তাঁর অনুগ্রহপ্রাপ্ত বান্দাহ্‌দের দলভুক্ত হই – রেফারেন্স সাজানো হয়েছে [সূরা নাম্বার/ আয়াত নাম্বার] অনুযায়ী 

কোরআনে ইখলাস সম্পর্কে অবতীর্ণ আয়াতসমূহ



আল্লাহর জন্য দ্বীনকে খালেস করণ

(১) “বল, ‘তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহর ব্যাপারে বিতর্ক করছ অথচ তিনি আমাদের রব ও তোমাদের রব? আর আমাদের জন্য রয়েছে আমাদের আমলসমূহ এবং তোমাদের জন্য তোমাদের আমলসমূহ এবং আমরা তাঁর জন্যই একনিষ্ঠ।” [ সূরা বাকারা : ১৩৯ ]

কুর’আনের অর্থ না বুঝার কারণে আপনি প্রতিদিন যে ১০টি জিনিস হারাচ্ছেন !



১)কুর’আন নাযিলের উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন !

আপনি যদি কুর’আনের অর্থ না বুঝেই কেবল উচ্চারণ করে পড়তে থাকেন, তাহলে কুর’আন নাযিলের মূল উদ্দেশ্য হারিয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন: “এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।” [সূরা সা’দ ২৯]

কুরআনের কয়েকটি বিশেষ সূরা ও আয়াতের ফযীলত



বাজারে প্রচলিত বিদ’আত ও ভুলে ভরা বই এ আমরা কুরআনের প্রত্যেকটি সূরার কোন না কোন ফজীলতের কথা পড়েছি। অথচ এগুলো অনেকাংশেই দুর্বল ও জাল হাদিসের উপর ভিত্তি করে লেখা। এখানে কুরআনের যেসব সূরা ও আয়াতের কথা সহীহ হাদিসে বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখিত হয়েছে, সে হাদিসগুলো একত্রে উপস্থাপন করা হল।

কোরআনের চ্যালেঞ্জ



বিষয়বস্তু উপস্থাপনের দিক থেকে কোরআন আল-কারীম এক অনন্য সাধারন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলেও কোরআন নিজেই অলৌকিকতায় ভরপুর এক বিস্ময়কর গ্রন্থ। “অলৌকিক” বলতে সাধারণত আমরা যা বুঝি তা হল, অতিপ্রাকৃতিক কিংবা বিস্ময়কর কোন ঘটনা যা মানুষের পক্ষে কখনই উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। নবী কারীম (সা) তৎকালীন আরবদেরকে কোরআনের ভাষা, ছন্দ ও বিষয়বস্তুর অলংকারের সমতুল্য সাহিত্য রচনার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অথচ তারাই কাব্যসাহিত্যে ব্যাপক পারদর্শী ছিল। কিন্তু কাব্য রচনায় নিজেদের এতো সাফল্য আর উৎকর্ষতা থাকার পরেও তারা উক্ত চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কোরআন এর অবিকল কিছু সৃষ্টির ঐ চ্যালেঞ্জ আরবসহ পুরো মানবজাতির উপর তিনটি পর্যায়ে দেয়া হয়েছেঃ

কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য এবং কুরআন পাঠে আমাদের আচারন



বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহীম। সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করছি এবং তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। তাঁরই নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। তাঁরই কাছে তওবা করছি। তাঁরই কাছে আমাদের নফসের অমঙ্গল এবং মন্দ আমল হতে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা যাকে হিদায়েত দান করেন কেউ তাকে পথ ভ্রষ্ট করতে পারে না আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেউ হিদায়াত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

একটা শক্ত ব্রেক! -বদলে দিতে পারে অনেক কিছু.....

একটা শক্ত ব্রেক! -বদলে দিতে পারে অনেক কিছু.....

আপনি যখন ভালো হয়ে যাওয়ার চিন্তা শুরু করেন; ভাবেন, নাহ! আর এমন জীবন নয়; ভালো হয়ে যেতে হবে; নামাজ পড়া শুরু করতে হবে। তখন শয়তান এসে বলে, হ্যা শুরু তো করবা ঠিক আছে, কিন্তু কোন ওয়াক্ত থেকে? আজ তো তিন ওয়াক্ত চলেই গেছে; ভাঙ্গা দিন থেকে শুরু করে কী হবে, তার চেয়ে কাল থেকেই শুরু করো। শুরু করলে দিনের শুরু থেকেই করা উচিত, ফজর থেকে।

কিছু অমৃত বাণী:

কিছু অমৃত বাণী:

●●● ”তাওহীদ হলো সমস্ত দোয়া, সমস্ত কান্নাকাটি, সাহায্য চেয়ে সমস্ত আবেদন, সমস্ত আশা এবং সকল কল্যাণের আগমন ও সকল ক্ষতি নিবারণের জন্য প্রার্থনা অন্য কেউ নয় বরং কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে হতে হবে।”

– ইমাম মুহাম্মাদ আলী আশ-শাওকানী [আল দূর আল-নাদিদ]

মুসলিমদের বিজয় কেমন হবে ?

মুসলিমদের বিজয় কেমন হবে ?

আলহামদুলিল্লাহ, আস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ।

প্রকৃতপক্ষে 'বিজয়' শব্দটার মধ্যে এমন একটা উপলব্ধি রয়েছে, যা অন্য কিছুর মধ্যে নেই। এই যেমন নতুন হাটতে শেখা একটা বাচ্চা দৌড়ে গিয়ে তার মা'কে ধরতে পারার মধ্যে যে বিজয়ের আনন্দ পায়, তা কেবল সেই বুঝে। আবার মৃত্যুর পর জান্নাত পাওয়ার আনন্দ কেবল ঐ বিজয়ী (জান্নাতী) ব্যক্তিই বুঝবে। তবে বিজয় শব্দটা ইতিবাচক হলেও প্রায় সময় নেতিবাচক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এই যেমন একজন চুর সফলভাবে চুরি সম্পন্ন করাকেও বিজয় মনে করে। তবে নেতিবাচক বিজয় কেবল পৃথিবীতেই সম্ভব। কারণ পরকালে কোন জাহান্নামী ব্যক্তি নিজেকে বিজয়ী বলে দাবি তো করবেই না বরং হতাশায় আচ্ছন্ন হবে।

সূরা বাকারাহ : কুরআনের চূড়া

সূরা বাকারাহ : কুরআনের চূড়া

হযরত মা’কাল বিন ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘সূরা-ই-বাকারাহ’ কুরআনের কূঁজ এবং তার চূড়া । এর এক একটি আয়াতের সঙ্গে ৮০ জন ফেরেশতা উর্ধ্বগগণ থেকে অবতীর্ণ হয়েছিলেন । বিশেষ করে ‘আয়াতুল কুরসী’ তো খাস আরশ হতে অবতীর্ণ হয়েছে এবং এই সূরার সঙ্গে মিলানো হয়েছে ।

তাহাজ্জুদের সালাতের গুরুত্ব ও আদায়ের সঠিক নিয়ম

তাহাজ্জুদের সালাতের গুরুত্ব ও আদায়ের সঠিক নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হরহামেশা এ নামাজ নিয়মিতিভাবে পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) কে তা নিয়মিত আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। পবিত্র কুরআনে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বিশেষভাবে তাকিদ করা হয়েছে । যেহেতু উম্মতকে নবীর অনুসরণ করার হুকুম করা হয়েছে সে জন্যে তাহাজ্জুদের এ তাকীদ পরোক্ষভাবে গোটা উম্মতের জন্য করা হয়েছে।

আপনার অনুভূতি জাগবে তো ?

আপনার অনুভূতি জাগবে তো ?

যে মৃত্যুর কথা, কবরের কথা স্মরণ করে কাঁদতে কাঁদতে সালফে সালেহীনরা দাড়ি ভিজিয়ে ফেলতেন, সাহাবারা বেহুঁশ হয়ে পড়তেন; সেই মৃত্যুকে কমনীয় করে সাজাতে সাহিত্যিকদের যে আয়োজন, তার আউটপুট একটাই- আল্লাহ্‌র স্মরণ দূরে সরিয়ে ফেলা। তরুণরা শাহাদাতের মৃত্যুর স্বপ্ন দেখবে না, দেখবে ‘চান্নি পসর রাইতে’ মরণের। যেন জ্যোৎস্না রাতে মৃত্যুর ফিরিশতা সহজে জান কবজ করে। হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে ঘুরে বেড়ানো যে যুবকটিকে হুমায়ূন আহমেদ হিরোরূপে দেখিয়েছেন, সে আপাদমস্তক অথর্ব; দিনের পর দিন গায়ে পানি না লাগানো অপবিত্র শরীরের একটা অপদার্থ, যে বাস্তবে থাকলে গায়ের গন্ধেই টেকা মুশকিল হত। মেয়েরা চাইবে ‘রূপা’ আর বাকের ভাইয়ের ‘মুনা’ হতে; মারইয়াম থাকবে অপরিচিত, ‘মারিয়া’ বললে ঠিক আছে, পাঁচ পদ্মের নায়িকা বলে কথা! আর যুবকেরা তাদের প্রাণশক্তি দিয়ে আসবে হাঁ করে চাঁদের আলো খেতে থেকে, আর রাতের অন্ধকারে জৈবিক মিলন ঘটিয়ে প্রেয়সীর অধিকার আদায় করে; যেমনটা জাফর ইকবাল বলেছিল-“হুমায়ূনের গল্প পড়ে তরুণ-তরুনীরা অবলীলায় প্রেমে পড়তে শিখেছে”।

চাশতের সালাত কি এবং কখন ?

চাশতের সালাত কি এবং কখন ?

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

বুরাইদা (রা) বলেন,
রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, “মানুষের শরীরে ৩৬০ টি জোড় রয়েছে। অতএব মানুষের কর্তব্য হল প্রত্যেক জোড়ের জন্য একটি করে সদাকা করা।” সাহাবায়ে কেরাম (রা) বললেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! কার শক্তি আছে এই কাজ করার?” তিনি (সা) বললেন, “মসজিদে কোথাও কারোর থুতু দেখলে তা ঢেকে দাও অথবা রাস্তায় কোন ক্ষতিকারক কিছু দেখলে সরিয়ে দাও। তবে এমন কিছু না পেলে, চাশতের দুই রাকা’আত সালাতই এর জন্য যথেষ্ট।” [আবু দাউদ; কিতাবুল ‘আদাব’, অধ্যায়ঃ ৪১, হাদীস নং:৫২২২]

কোন্ কোন্ অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ ?



১। একেবারেই পানি না পাওয়া গেলে অথবা পান করার মত থাকলে এবং ওযু-গোসলের জন্য যথেষ্ট পানি না পাওয়া গেলে।

হযরত ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) বলেন, আমরা নবী (সাঃ) এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। এক সময় তিনি লোকেদের নিয়ে নামায পড়লেন। যখন তিনি নামায শেষ করলেন, তখন দেখলেন একটি লোক একটু সরে পৃথক দাঁড়িয়ে আছে। সে জামাআতে নামাযও পড়েনি। তিনি তাকে বললেন, “কি কারণে তুমি জামাআতে নামায পড়লে না?” লোকটি বলল, ‘আমি নাপাকে আছি, আর পানিও নেই।’ তিনি বললেন, “পাক মাটি ব্যবহার কর। তোমার জন্য তাই যথেষ্ট।” (বুখারী, মুসলিম, সহীহ মিশকাত ৫২৭নং)

আল্লাহর উপর ভরসা করুন!



দ্বীনের রাস্তায় আসলে মানুষকে আল্লাহ বড় একটা পরীক্ষা নেন। সাহাবাদের নিয়েছেন, আমাদেরও নিচ্ছেন। যারা সত্যি বিশ্বাস করে পৃথিবীতে মানুষ এসেছে পরীক্ষা দিতে তারা আল্লাহর উপর ভরসা করে একটা লিপ অফ ফেইথ নিতে পারে।

হয়ত সেটা সুদী ব্যাংকে চাকরি ছাড়া। হয়ত উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কাফেরদের দেশ ছেড়ে আসা। হয়ত হারাম ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া।

আমরা কতটুকু মুমিন হতে পেরেছি ?

আমরা কতটুকু মুমিন হতে পেরেছি ?

আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সালামু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ ﷺ।

উমর (রা) ইসলাম গ্রহণ করার পর ইসলামের শক্তি বেড়ে গিয়েছিল। তিনি রাসূল ﷺ কে খুবই ভালবাসতেন, রাসূল ﷺ এর আদেশ মান্য করতেন।

কারবালার সঠিক ইতিহাস ও শিয়াদের প্রাচীন রূপ

কারবালার সঠিক ইতিহাস ও শিয়াদের প্রাচীন রূপ

আজ ১০ই মুহাররম বা আশুরার দিন। এ দিনটি বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু সেই বিভিন্ন কারণ বাদ দিয়ে যে উপলক্ষ্যে আমরা ছুটি কাটাই তা হল কারবালার ঘটনা। শেষ নবী ও রসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাতি ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) এদিন কারবালাতে মুসলিম নামধারী কিছু মুনাফিকের হাতে শহীদ হন। তিনি অত্যন্ত সৎ, সজ্জন এবং সাহসী সাহাবা ছিলেন। রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মত তিনিও আমাদের খুব প্রিয় একজন নেতা। কিন্তু ইসলামের অন্যান্য অনেক বিষয়ের মত তার মৃত্যু সম্পর্কে সত্য ইতিহাসটা আমরা জানি না, জানার চেষ্টাও করি না।

আশুরা : করণীয় ও বর্জনীয় কি?

আশুরা : করণীয় ও বর্জনীয় কি?

● আশুরা শব্দটি আরবী‘’আশেরা’ শব্দ থেকে রূপান্তরিত। আর‘আশেরা হচ্ছে ‘আশারা’ শব্দের বিশেষণ। যার, সাধারণ বাংলা অর্থ হচ্ছে দশ, দশক, দশজন বা দশটি (১০) অর্থাৎ ‘আশারা একটি আরবী সংখ্যার নাম যার বাংলা অর্থ দশ। দেখা যাচ্ছে, আরবী সংখ্যা ‘আশারা’ (১০) থেকে ‘আশেরা’ (দশম)। আর ত থেকে ‘আশুরা’ শব্দটি নির্গত হয়েছে যার অর্থ, মুহররম মাসের ১০ তারিখ। [লিসানুল আরব, ৪/৫৬৯]

১০০ টি কবীরা গুনাহ

১০০ টি কবীরা গুনাহ

নিচে ১০০টি কবীরা গুনাহর নাম উল্লেখ করা হলো। সবাই এগুলো থেকে দূরে থাকুন এবং আল্লাহর নিকট পানাহ চান।

● আল্লাহর সাথে শিরক করা
● নামায পরিত্যাগ কর
● পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
● অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
● পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা

কবিরা গুনাহ কি ? এ থেকে ক্ষমা পাওয়ার উপায় কি ?

কবিরা গুনাহ কি ? এ থেকে ক্ষমা পাওয়ার উপায় কি ?

কাবীরা গুনাহের আভিধানিক অর্থ বড় গুনাহ ।

আর শারী’আতের পরিভাষায় আল্লাহ ও তাঁর রসূল যে সকল কাজ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং সে সকল কাজের জন্য শাস্তির বিধান অথবা আল্লাহর রাগের কথা ঘোষণা রয়েছে, তাকে কাবীরা গুনাহ বলা হয়।

শয়নকালে পালনীয় ১০ টি সুন্নাত

শয়নকালে পালনীয় ১০ টি সুন্নাত

১. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া। -(বুখারী: ৬৩২০)

২. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করা। -(বুখারী: ৫৬২৩)

৩. শয়নের সময় দু'আ পাঠ করা (যেমন, 'আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ'মুতু ওয়া আহইয়া')। -(বুখারী: ৬৩১৪)

পানাহারের সময় পালনীয় কিছু সুন্নাত

পানাহারের সময় পালনীয় কিছু সুন্নাত

১. ডান হাতে পানাহার করা এবং 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করা। -(তিরমিযীঃ ১৮৫৭)

২. পৃথক পৃথক খাওয়ার চেয়ে একত্রে মিলে খাওয়া। -(ইবনে মাজাহঃ ৩২৮৬)

৩. খাওয়ার সময় কোন খাদ্যকণা নিচে পড়লে তা (পরিষ্কার করে) খেতে সংকোচবোধ না করা। -(তিরমিযীঃ ১৮০২)

কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল

কুরবানী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল

১. যাকাতের নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়াঃ

কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো, যাকাতের নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া । তবে এই সম্পদ এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বরং ১০ই জিলহজ্জের ফজর হতে ১২ই জিলহজ্জের সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যাকাতের নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব ।

সমাজে প্রচলিত ৮১ টি কুসংস্কার

সমাজে প্রচলিত ৮১ টি কুসংস্কার

কুসংস্কার হলো এমন বিশ্বাস, যার ভিত্তি ইসলামে নেই । অর্থাৎ মনগড়া বিশ্বাস । নিম্নে এরকম ৮১ টি কুসংস্কার উল্লেখ করা হলঃ

সম্পর্কিত পোষ্টসমূহ