আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য



স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা পবিত্র। এই ভালোবাসাটা কিভাবে দিন দিন বাড়বে তা একটু দেখে নিন-

✔প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে হাসিমুখে কথা বলা।

শিয়াদের ভয়ানক বিশ্বাস ও ভয়াবহ কর্ম



শিয়া বিশ্বাস বা ইতিহাস নিয়ে অজস্র আলোচনা পৃথিবীর বুকে হয়েছে। সামান্য পরিসরে আসুন আমরা দেখে নেই শিয়াদের বিধ্বংসী বিশ্বাসগুলো।

■ ‘গাদীর খুম’ এর হাদীস এবং এর বিকৃতি- শিয়া বিশ্বাসের অন্যতম ভিত্তিঃ

আক্বীদা, সালফে সালেহীন ও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের সংজ্ঞা



আক্বীদার অর্থঃ আভিধানিক দিক থেকে; আক্বীদাহ শব্দ উৎকলিত হয়েছে, আক্বদুন, তাওছীক্বুন, ইহকামুন ইত্যাদি শব্দ থেকে।

অর্থাৎ: বাঁধা, দৃঢ় করা ইত্যাদি। 

পারিভাষিক অর্থে আক্বীদাহ বলতে বুঝায়ঃ সন্দেহাতীত প্রত্যয় এবং দৃঢ় বিশ্বাসকে। 

বিষয়ভিত্তিক কুরআনের আয়াত: ইসলাম ও মুসলিম



বিসমিল্লাহীর রহমানির রহিম

আল্লাহ্ সুবহানওয়া তা'আলা বলেন:

১.
"স্মরণ কর, যখন তাকে তার পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম। এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে (ইসলামকে) মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলিম না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না।" -(সূরা বাকারাহ, আয়াত: ১৩১-১৩২)

একজন মুসলিম যেভাবে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়



শারি‘আহ্‌র পরিভাষায় ইসলাম বিনষ্টকারী কোনো কিছু করাকে রিদ্দাহ বলা হয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ কাজ করলো সে মুরতাদ হিসাবে গণ্য হয়। আর ইসলাম বিনষ্টকারী এ বিষয়গুলোকে মূলত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ : নতুন একটি ধর্ম



আজকের দিনে পশ্চিমা সভ্যতার মূলমন্ত্র হলো ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র। পশ্চিমা জাতিগুলো এই আদর্শকে সর্বোত্তম ও সবার জন্য অনুসরণীয় মনে করে। যেহেতু পশ্চিমারা মনে করে যে, বর্তমান পৃথিবীতে তারাই সবচেয়ে উন্নত জাতি; কাজেই তারা যে জীবনব্যবস্থা বা সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, সেটা সমগ্র মানবজাতির কাছেই উত্তম ও উন্নত বলে পরিগণিত হতে হবে।

বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা : নারী ব্যবসা বৈ কিছু নয়!



আমার বয়স তখন দশ বা এগারো। আবুধাবীতে হুলুস্থুল শোরগোল পড়ে গেল। প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা সম্প্রচারিত হবে। আমি বুঝি না কিছুই। কিন্তু সবাই লাফায় তাই আমিও লাফাতে লাগলাম। বাসায় গিয়ে বাবাকে বললাম, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা দেখব। টিভির অনেক অনুষ্ঠান দেখার ব্যাপারেই আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিছু অনুষ্ঠান বাবা রেকর্ড করে সেন্সর করে দেখতে দিতেন। কিন্তু এটা বন্ধুবান্ধবের কাছে মানসম্মানের প্রশ্ন। জেদ ধরলাম দেখতে দিতেই হবে।

জান্নাতে যাওয়ার সহজ মাধ্যমগুলো জেনে নিন



১- প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন (আশ্‌হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ)

এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (১)

২- প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। (২)

আপনার মাতা পিতা আপনার জান্নাত জাহান্নাম



আমাদের রাসূল (সঃ) বলেনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায় মাতা-পিতার সন্তুষ্টিতে। আর আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন মাতা-পিতার অসন্তুষ্টিতে। সুতরাং যে কেউ চায় যে আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হউক, তার উচিত তার মাতা পিতাকে সন্তুষ্ট করা। আর যে আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে, তার উচিত স্বীয় মাতা পিতার অসন্তুষ্টিতে উদ্বিগ্ন হওয়া। মুসনাদে ইমাম আহমাদ ও সুনান আবু দাউদে বর্ণিত আছে… এক সাহাবী ইয়েমেন থেকে আসলেন এবং রাসূল (সঃ) কে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ), আমি ইয়েমেন থেকে আপনার নিকট এসেছি, যাতে আমি আপনাকে আমার বাইয়াত দিতে পারি, যেন আমি একজন সাহাবী হতে পারি, আপনার সহযোগী হয়ে যুদ্ধ করতে পারি। আমি আমার পিতা মাতাকে ছেড়ে এসেছি আর তাঁরা কান্না করছিলেন। আমি পিতা মাতাকে ছেড়ে আপনার নিকট এসেছি।

বিষয়ভিত্তিক হাদীস-ঈমান বিষয়ক




●●● হবরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্হাপিত (এগুলো হল) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, সালাত আদায় করা, যাকাত আদায় করা, হজ্জ আদায় করা এবং রমাযানের ছিয়াম পালন করা।" -[বুখারীঃ ৭]

●●● হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেছেনঃ "ঈমানের শাখা হলো ষাটের কিছু অধিক এবং লজ্জা- শরম ঈমানের একটি শাখা।" -[বুখারীঃ ৮]

হাদীসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা



সুপ্রিয় বন্ধুগণ, বর্তমান যুগে অগণিত ফিতনার মাঝে একটি বড় ফিতনা হল হাদীস অস্বীকার করা ফিতনা। এই হাদীস অস্বীকার কারীর দল তাদের নোংরা নখর বের করে সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্বত্বা এবং হাদীসে রাসূলের উপর কঠিন ভাবে আক্রমণ শুরু করেছে। কারণ, হাদীস থেকে মুসলমানদের দূরে সরাতে পারলে মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরানো পানির মত সোজা। এ জন্য তারা ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও ওয়া মাহফিল, সভা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের এই জঘন্য অপ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে তারা হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলছে। হাদীসের অপব্যাখ্যা করে তার মানহানি করছে। হাদীসকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে। তারা বলতে চায় শুধু কুরআন যথেষ্ট। হাদীস মানার প্রয়োজন নাই। হাদীস বা সুন্নাহ শব্দটি তারা শুনতে চায় না। যার কারণে এরা নিজেদেরকে নাম দিয়েছে আহলে কুরআন বা কুরআনের অনুসারী।

কতিপয় নিষিদ্ধ বিষয়াবলী



■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।" -(সহীহুল বুখারী: ৬০১৮, ৩৩৩১; মুসলিম: ৪৭, ১৪৬৮)

■ আবু মূসা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে জিজ্ঞেস করলাম, 'হে আল্লাহর রাসূল! সর্বোত্তম মুসলমান কে?' তিনি বললেন, "যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে।" -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫২০)

বিষয়ভিত্তিক কুরআনের আয়াত : আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব



বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আল্লাহ্ তা'আলা বলেন:
১.
"যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক।" -(সূরা আল ফাতিহা, আয়াত: ২-৪)

বিষয়ভিত্তিক কুরআনের আয়াত: জ্ঞান (ইলম)



বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আল্লাহ্ সুবহানওয়া তা'আলা বলেন:

১.
"এই সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য ।" -[সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২]

২.
“পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃ্ষ্টি করেছেন মানুষকে। মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্ত পিন্ড থেকে। পড়, তোমার প্রতিপালক বড়ই দয়ালু। যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষকে এমন জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানত না।” -[সূরা আলাক্ব, আয়াত: ১-৫]

গোসল করার নিয়ম



পবিত্রতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ ও চুড়ান্ত উপায় হলো গোসল করা। তবে এই গোসলেরও রয়েছে কিছু সহজ নিয়মকানুন:

নাপাকীর গোসল করতে হলে গোসলের নিয়ত করে মুসলিম প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুবে। অতঃপর বাম হাতের উপর পানি ঢেলে দেহের নাপাকী ধুয়ে ফেলবে । তারপর বাম হাতকে মাটি অথবা সাবান দ্বারা ধুয়ে নামাজের জন্য ওযু করার মতো পূর্ণ ওযু করবে। ওযুর পর ৩ বার মাথায় পানি ঢেলে ভালো করে চুলগুলো ধুবে, যাতে সমস্ত চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়। তারপর সারা দেহে ৩ বার পানি ঢেলে ভালোরূপে ধুয়ে নেবে। অবশ্য গোসলের জায়গা পরিষ্কার না হলে পা দুটি গোসল শেষে ধুয়ে নেবে। (বুখারী, মুসলিম)

উযুর বিস্তারিত বর্ণনা




আসসালামু আলাইকুম। ইসলামে আত্মিক ও শারীরিক পবিত্রতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে যে, পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক অংশ। আর পবিত্রতা অর্জনের একটা বড় মাধ্যম হল উযূ। তাই আসুন, অযূ সম্পর্কে জানা-অজানা বিষয়গুলো কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি যেন আমরা এর দ্বারা উপকৃত হতে পারি ইনশাআল্লাহ।

ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ



পবিত্রতা অর্জনে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওযু জরুরী। তাই এই ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। নিম্নে ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ উল্লেখ করা হল:

১. পেশাব ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে কিছু (পেশাব, পায়খানা, বীর্য, মযী, হাওয়া, রক্ত, কৃমি, পাথর প্রভৃতি) বের হলে ওযু ভেঙ্গে যায়। তদনুরূপ দেহের অন্যান্য অঙ্গ থেকে (যেমন অপারেশন করে পেট থেকে পাইপের মাধ্যম) অপবিত্র (বিশেষ করে পেশাব-পায়খানা) বের হলেও ওযু নষ্ট হয়ে যাবে।

সম্পর্কিত পোষ্টসমূহ