দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা



আমাদের বঙ্গদেশীয় মুসলিম সমাজে সংসারের পুরুষদের প্রায়ই দেখা যায় ধর্মের দোহাই দিয়ে স্ত্রীকে খাটো করে তারা এক ধরণের পৈশাচিক আনন্দ পান। যদি স্ত্রীর কাছে আত্মসম্মানবোধ নিয়ে থাকতে চান তবে কোরআন হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে স্ত্রীকে খোঁটা দিবেন না প্লিজ। যে সব কাপুরুষ স্ত্রীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নিজেদের সমস্যা মিটিয়ে নিতে পারে না তারাই ঢাল হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করে। আমি সবসময়ই বলি এই বঙ্গদেশে ফেমিনিজমের উত্থানের পেছনে অন্যতম কারণ আমরা পুরুষরাই। আমাদের কথা, কাজ ও আচরণের জন্যই তারা অনেকাংশে ইসলামকে নারীদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিয়েছে।

আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য



স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা পবিত্র। এই ভালোবাসাটা কিভাবে দিন দিন বাড়বে তা একটু দেখে নিন-

✔প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে হাসিমুখে কথা বলা।

শিয়াদের ভয়ানক বিশ্বাস ও ভয়াবহ কর্ম



শিয়া বিশ্বাস বা ইতিহাস নিয়ে অজস্র আলোচনা পৃথিবীর বুকে হয়েছে। সামান্য পরিসরে আসুন আমরা দেখে নেই শিয়াদের বিধ্বংসী বিশ্বাসগুলো।

■ ‘গাদীর খুম’ এর হাদীস এবং এর বিকৃতি- শিয়া বিশ্বাসের অন্যতম ভিত্তিঃ

আক্বীদা, সালফে সালেহীন ও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের সংজ্ঞা



আক্বীদার অর্থঃ আভিধানিক দিক থেকে; আক্বীদাহ শব্দ উৎকলিত হয়েছে, আক্বদুন, তাওছীক্বুন, ইহকামুন ইত্যাদি শব্দ থেকে।

অর্থাৎ: বাঁধা, দৃঢ় করা ইত্যাদি। 

পারিভাষিক অর্থে আক্বীদাহ বলতে বুঝায়ঃ সন্দেহাতীত প্রত্যয় এবং দৃঢ় বিশ্বাসকে। 

বিষয়ভিত্তিক কুরআনের আয়াত: ইসলাম ও মুসলিম



বিসমিল্লাহীর রহমানির রহিম

আল্লাহ্ সুবহানওয়া তা'আলা বলেন:

১.
"স্মরণ কর, যখন তাকে তার পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম। এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে (ইসলামকে) মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলিম না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না।" -(সূরা বাকারাহ, আয়াত: ১৩১-১৩২)

একজন মুসলিম যেভাবে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়



শারি‘আহ্‌র পরিভাষায় ইসলাম বিনষ্টকারী কোনো কিছু করাকে রিদ্দাহ বলা হয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ কাজ করলো সে মুরতাদ হিসাবে গণ্য হয়। আর ইসলাম বিনষ্টকারী এ বিষয়গুলোকে মূলত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ : নতুন একটি ধর্ম



আজকের দিনে পশ্চিমা সভ্যতার মূলমন্ত্র হলো ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র। পশ্চিমা জাতিগুলো এই আদর্শকে সর্বোত্তম ও সবার জন্য অনুসরণীয় মনে করে। যেহেতু পশ্চিমারা মনে করে যে, বর্তমান পৃথিবীতে তারাই সবচেয়ে উন্নত জাতি; কাজেই তারা যে জীবনব্যবস্থা বা সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে, সেটা সমগ্র মানবজাতির কাছেই উত্তম ও উন্নত বলে পরিগণিত হতে হবে।

বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা : নারী ব্যবসা বৈ কিছু নয়!



আমার বয়স তখন দশ বা এগারো। আবুধাবীতে হুলুস্থুল শোরগোল পড়ে গেল। প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা সম্প্রচারিত হবে। আমি বুঝি না কিছুই। কিন্তু সবাই লাফায় তাই আমিও লাফাতে লাগলাম। বাসায় গিয়ে বাবাকে বললাম, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা দেখব। টিভির অনেক অনুষ্ঠান দেখার ব্যাপারেই আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিছু অনুষ্ঠান বাবা রেকর্ড করে সেন্সর করে দেখতে দিতেন। কিন্তু এটা বন্ধুবান্ধবের কাছে মানসম্মানের প্রশ্ন। জেদ ধরলাম দেখতে দিতেই হবে।

জান্নাতে যাওয়ার সহজ মাধ্যমগুলো জেনে নিন



১- প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুন (আশ্‌হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ)

এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (১)

২- প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। (২)

আপনার মাতা পিতা আপনার জান্নাত জাহান্নাম



আমাদের রাসূল (সঃ) বলেনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায় মাতা-পিতার সন্তুষ্টিতে। আর আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন মাতা-পিতার অসন্তুষ্টিতে। সুতরাং যে কেউ চায় যে আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হউক, তার উচিত তার মাতা পিতাকে সন্তুষ্ট করা। আর যে আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে, তার উচিত স্বীয় মাতা পিতার অসন্তুষ্টিতে উদ্বিগ্ন হওয়া। মুসনাদে ইমাম আহমাদ ও সুনান আবু দাউদে বর্ণিত আছে… এক সাহাবী ইয়েমেন থেকে আসলেন এবং রাসূল (সঃ) কে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ), আমি ইয়েমেন থেকে আপনার নিকট এসেছি, যাতে আমি আপনাকে আমার বাইয়াত দিতে পারি, যেন আমি একজন সাহাবী হতে পারি, আপনার সহযোগী হয়ে যুদ্ধ করতে পারি। আমি আমার পিতা মাতাকে ছেড়ে এসেছি আর তাঁরা কান্না করছিলেন। আমি পিতা মাতাকে ছেড়ে আপনার নিকট এসেছি।

বিষয়ভিত্তিক হাদীস-ঈমান বিষয়ক




●●● হবরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্হাপিত (এগুলো হল) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, সালাত আদায় করা, যাকাত আদায় করা, হজ্জ আদায় করা এবং রমাযানের ছিয়াম পালন করা।" -[বুখারীঃ ৭]

●●● হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেছেনঃ "ঈমানের শাখা হলো ষাটের কিছু অধিক এবং লজ্জা- শরম ঈমানের একটি শাখা।" -[বুখারীঃ ৮]

হাদীসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা



সুপ্রিয় বন্ধুগণ, বর্তমান যুগে অগণিত ফিতনার মাঝে একটি বড় ফিতনা হল হাদীস অস্বীকার করা ফিতনা। এই হাদীস অস্বীকার কারীর দল তাদের নোংরা নখর বের করে সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্বত্বা এবং হাদীসে রাসূলের উপর কঠিন ভাবে আক্রমণ শুরু করেছে। কারণ, হাদীস থেকে মুসলমানদের দূরে সরাতে পারলে মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরানো পানির মত সোজা। এ জন্য তারা ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও ওয়া মাহফিল, সভা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের এই জঘন্য অপ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে তারা হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলছে। হাদীসের অপব্যাখ্যা করে তার মানহানি করছে। হাদীসকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে। তারা বলতে চায় শুধু কুরআন যথেষ্ট। হাদীস মানার প্রয়োজন নাই। হাদীস বা সুন্নাহ শব্দটি তারা শুনতে চায় না। যার কারণে এরা নিজেদেরকে নাম দিয়েছে আহলে কুরআন বা কুরআনের অনুসারী।

কতিপয় নিষিদ্ধ বিষয়াবলী



■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।" -(সহীহুল বুখারী: ৬০১৮, ৩৩৩১; মুসলিম: ৪৭, ১৪৬৮)

■ আবু মূসা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে জিজ্ঞেস করলাম, 'হে আল্লাহর রাসূল! সর্বোত্তম মুসলমান কে?' তিনি বললেন, "যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে।" -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫২০)

বিষয়ভিত্তিক কুরআনের আয়াত : আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব



বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আল্লাহ্ তা'আলা বলেন:
১.
"যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক।" -(সূরা আল ফাতিহা, আয়াত: ২-৪)

বিষয়ভিত্তিক কুরআনের আয়াত: জ্ঞান (ইলম)



বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আল্লাহ্ সুবহানওয়া তা'আলা বলেন:

১.
"এই সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য ।" -[সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২]

২.
“পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃ্ষ্টি করেছেন মানুষকে। মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্ত পিন্ড থেকে। পড়, তোমার প্রতিপালক বড়ই দয়ালু। যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষকে এমন জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানত না।” -[সূরা আলাক্ব, আয়াত: ১-৫]

গোসল করার নিয়ম



পবিত্রতা অর্জনের শ্রেষ্ঠ ও চুড়ান্ত উপায় হলো গোসল করা। তবে এই গোসলেরও রয়েছে কিছু সহজ নিয়মকানুন:

নাপাকীর গোসল করতে হলে গোসলের নিয়ত করে মুসলিম প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুবে। অতঃপর বাম হাতের উপর পানি ঢেলে দেহের নাপাকী ধুয়ে ফেলবে । তারপর বাম হাতকে মাটি অথবা সাবান দ্বারা ধুয়ে নামাজের জন্য ওযু করার মতো পূর্ণ ওযু করবে। ওযুর পর ৩ বার মাথায় পানি ঢেলে ভালো করে চুলগুলো ধুবে, যাতে সমস্ত চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়। তারপর সারা দেহে ৩ বার পানি ঢেলে ভালোরূপে ধুয়ে নেবে। অবশ্য গোসলের জায়গা পরিষ্কার না হলে পা দুটি গোসল শেষে ধুয়ে নেবে। (বুখারী, মুসলিম)

উযুর বিস্তারিত বর্ণনা




আসসালামু আলাইকুম। ইসলামে আত্মিক ও শারীরিক পবিত্রতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে যে, পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক অংশ। আর পবিত্রতা অর্জনের একটা বড় মাধ্যম হল উযূ। তাই আসুন, অযূ সম্পর্কে জানা-অজানা বিষয়গুলো কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি যেন আমরা এর দ্বারা উপকৃত হতে পারি ইনশাআল্লাহ।

ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ



পবিত্রতা অর্জনে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওযু জরুরী। তাই এই ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। নিম্নে ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ উল্লেখ করা হল:

১. পেশাব ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে কিছু (পেশাব, পায়খানা, বীর্য, মযী, হাওয়া, রক্ত, কৃমি, পাথর প্রভৃতি) বের হলে ওযু ভেঙ্গে যায়। তদনুরূপ দেহের অন্যান্য অঙ্গ থেকে (যেমন অপারেশন করে পেট থেকে পাইপের মাধ্যম) অপবিত্র (বিশেষ করে পেশাব-পায়খানা) বের হলেও ওযু নষ্ট হয়ে যাবে।

আমার স্বপ্নপূরণের একমাত্র পাথেয়



সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ সুবহানওয়া তা'আলার, যিনি আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যিনি আমার অন্তরে আশা জাগিয়েছেন । আর শান্তি অবতীর্ণ হোক সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর অনুসারীদের উপর ।

সাধারণত প্রতিটা মানুষই তার নিকট ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে । আর এই স্বপ্ন বিভিন্নজনের নিকট বিভিন্ন রকম হয় । যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা থাকে অপূরণীয় ও অবাস্তব । কিন্তু কেউ যদি জানতে পারে তার দেখা সবচেয়ে আনন্দময় স্বপ্নটি কিছুক্ষণ পর বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে, তাহলে তাঁর পক্ষে খুশি না হয়ে উপায় নেই । বরং সে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল একজন ব্যক্তি বলে দাবি করতেও কুণ্ঠিত হবে না । 

আমি আমার জীবনের উদ্দেশ্যকে খুঁজে পেয়েছি



সকাল ৮:৪০, অথচ এখনো আমি দাত ব্রাশ করছি। ৯ টায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে, তাই তাড়াহুড়ো করে নাস্তা না করেই বাসা থেকে বের হয়ে পড়েছি যেকোন ভাবেই ক্লাস ধরতে হবে । একটা ক্লাস মিস হয়ে গেলেই যে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে!

দুপুর ২:৩০, ক্লাস থেকে এসে কোনরকম দুপুরের খাবার শেষ করলাম মাত্র। এখনি বের হতে হবে। বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ২ টা প্রাইভেট টিচারের কাছে পড়তে হবে।

মিসওয়াক (দাঁতন) করার গুরুত্ব:



প্রিয় নবী (সা:) বলেন, "আমি উম্মতের জন্য কষ্টকর না জানলে এশার নামাজকে দেরী করে পড়তে এবং প্রত্যেক নামাজের পূর্বে দাঁতন (মিসওয়াক) করতে আদেশ দিতাম।" -(বুখারী, মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৩৭৬)

তিনি আরো বলেন: "আমি আমার উম্মতের পক্ষে কষ্টকর না জানলে (প্রত্যেক) ওযুর সাথে দাঁতন (মিসওয়াক) করা ফরয করতাম এবং এশার নামাজ অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে পড়তাম।" -(হাকেম, বাইহাকী, সহীহুল জামে' ৫৩১৯)

তায়াম্মুম কি, কেন ও কিভাবে ?



তায়াম্মুম:
তায়াম্মুমের নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা নিজেই দিয়েছেন:

"যদি তোমরা অসুস্থ হও অথবা সফরে থাকো, কিংবা তোমাদের মধ্যে কেউ পায়খানা করে আসে অথবা তোমরা স্ত্রী সঙ্গম কর, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে পাক মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও; তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতকে মাটি দ্বারা মাসাহ কর....।" -(সূরা আল মায়িদাহ: ৬)

যে কারণে অন্তর কঠিন হয়ে যায়



১. আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করা:

মানুষ যখন আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করে তখন তার অন্তর কঠিন হয়ে যায়। মানুষের চারদিকে এমনকি তাদের নিজেদের মধ্যেও আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শন বিদ্যমান। কেউ কোনো পাপে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে এবং পরে আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক সতর্কতামূলক নিদর্শন দেখান। পাপটি করার পূর্বে তার সহজাত সত্তা তাকে বাঁধা দেয়। তারপরও যদি ব্যক্তি সেটাকে অগ্রাহ্য করে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদের আশেপাশের অনেক ছোট বড় নিদর্শনের দ্বারা তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। আর তারপরও যদি সে পাপ কাজটি করে ফেলে; তাহলে আল্লাহ তায়ালা এরপরেও তাকে বিভিন্ন নিদর্শন দেখান যেন সে তওবা করে ফিরে আসে। এরপরও সেই ব্যক্তি যখন আল্লাহর সকল নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে পাপের উপর অটল থাকে, তখন আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরকে কঠিন করে দেন।

প্রচলিত লটারিতে অংশগ্রহণ কি বৈধ? এর পুরষ্কার কি হালাল ?



লটারি জুয়ার পর্যায়ভুক্ত। সুতরাং পুরষ্কারের লোভে তার টিকেট কেনা হারাম, তার পুরষ্কারও হারাম। আর হারাম দিয়ে কোন ভাল কাজের প্রতিযোগিতা করা প্রস্রাব দিয়ে পায়খানা ধোওয়ার মতো। মহান আল্লাহ বলেছেন,

হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণয়ক শর ঘৃন্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন কর। এতে তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহ্‌র স্মরণে ও নামাযে বাঁধা দিতে চায়। অতএব তোমরা কি নিবৃত হবে? (সূরা মাইদাহ ৯১-৯১ আয়াত)”

যাদু-টোনা থেকে বাঁচার উপায় কি ?



প্রশ্ন: যিনি বিদ্বেষন, বশীকরণ বা অন্য কোন যাদুটোনা দ্বারা আক্রান্ত তার চিকিৎসার উপায় কি? মুমিন ব্যক্তি যাদুটোনা থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন অথবা কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে যাদুটোনা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কুরআন ও হাদিসে এ সম্পর্কিত কোন দুআ-দরুদ বা যিকির-আযকার আছে কি?

উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য

যাদুটোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে:

'ভ্যালেন্টাইন ডে' -একটু ব্যবচ্ছেদ প্রয়োজন!



শুরুর কথা:
২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)

জ্বীনদের প্ররোচনা



নামাযে, ওজুতে ও অন্যান্য কাজের সময় সে সব শয়তান ও জীন আমাদের প্ররোচনা দেয় তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও বেচে থাকার উপায় !


জিনদের নাম, পরিচয় ও তাদের কাজঃ

১. ‘ইবলিস’ – আদম (আঃ) কে ওয়াসওয়াসা দিয়ে যেই জিন আল্লাহর আনুগত্য থেকে তাকে বিচ্যুত করেছিল – তার নাম হচ্ছে ইবলিস। আল্লাহ তাকে সরাসরি আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, সে হচ্ছে প্রথম জিন যেমন আদম (আঃ) হচ্ছেন প্রথম মানুষ। আদম (আঃ) কে সিজদা করতে অস্বীকার করে সে আল্লাহর সামনে অহংকার প্রদর্শন করে – এই কারণে সে ‘কাফের’ হয়ে চির জাহান্নামী ও আল্লাহর অভিশপ্রাপ্ত। তার সন্তানদের কেউ ঈমানদার মুসলিম, আবার কেউবা কাফের, তাদের পিতা ইবলিসের অনুসারী। যারা কাফের জিন, তাদেরকে সাধারণভাবে ‘শয়তান’ বলা হয়।

নির্বাচিত ১০০ হাদীস



১/১০০. হযরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন:

"ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত (এগুলো হল) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, সালাত আদায় করা, যাকাত আদায় করা, হজ্জ আদায় করা এবং রমাযানের ছিয়াম পালন করা।"

কুর'আনের কিছু আয়াত



এখানে এমন কিছু কুর'আনের আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো আমাদের অন্তরকে শীতল করবে এবং পরকালীন প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে । (ইন শা আল্লাহ্)

"আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।" -(সূরা ফাতিহা, আয়াত: ৫-৭)

উপলব্ধি: আল-কোরআনের বৈপরীত্য – বাস্তবিক নাকি মতিভ্রম?



সেদিন বৃহস্পতিবার। যথারীতি বিকেল পাঁচটায় ক্লাস শেষ হল। ভেবেছিলাম আসরের সালাত আদায় করে ফারিসকে নিয়ে বেড়াতে যাব। কিন্তু তা আর হলো না। সালাত আদায় করে সবেমাত্র বেরিয়েছি এমন সময় বৃষ্টি শুরু হল। মিনিট পাঁচেক হাঁটার পর দেখলাম বৃষ্টির মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলছে। দৌড়ে আমরা পাশের যাত্রী ছাউনীতে গিয়ে উঠলাম। তুমুল বৃষ্টি শুরু হল। যাত্রী ছাউনীতে আমাদের সাথে আরও বেশ ক’জন লোক ছিল।

কুরআনে কি আসলেই স্ববিরোধিতা (contradiction) আছে?



#নাস্তিক_প্রশ্নঃ আল্লাহর একদিন মানুষের কয়দিনের সমান? – ১০০০ বছর (Quran 22:47) নাকি ৫০০০০ বছর (Quran 70:4) !

#উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলো নিচে উল্লেখ করা হল।

"তারা তোমাকে[মুহাম্মাদ(ﷺ)] আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। তোমার প্রভুর কাছে একদিন তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমান। "
(কুরআন, হাজ্জ ২২:৪৭)

উমর (রা) কে নিয়ে একটি জঘন্য মিথ্যাচার – মুসলিমরা কি আসলেই আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরী পুড়িয়েছিল?



মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) তখন মিশর জয় করেছিলেন। মিশরের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন সাহাবী আমর্ ইবনুল আ'স (রা)।

সাবআতুল আহরুফ’ [৭টি উপভাষা / 7 Dialects] কি কুরআনের একাধিক ভার্শন?



অনেকেই সাবআতুল আহরুফ বা কুরআনের ৭ হরফ (7 dialects) নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন এবং অভিযোগ করে থাকেন এটা নাকি কুরআনের বিভিন্ন ভার্শন বা সংস্করণ(নাউযুবিল্লাহ)। অনেক সময়ে খ্রিষ্টান মিশনারী কিংবা নাস্তিক মুক্তমনারা বিভিন্ন জায়গায় প্রাপ্ত প্রাচীন কুরআনের কপির কথা প্রচার করেন যেগুলোতে কিছু শব্দ ও বাক্য বর্তমানে প্রচলিত কুরআনের থেকে কিছুটা ভিন্ন। এভাবে তারা আল কুরআনের সংরক্ষণ ও সঙ্কলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, তারা বলতে চান যে কুরআন ঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়নি এবং সাহাবীগণ আল কুরআনকে পরিবর্তন করে ফেলেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। আসুন এইসব অভিযোগের স্বরুপ সন্ধানে যাওয়া যাক।

ইসলাম কি ছোঁয়াচে রোগের অস্তিত্ব অস্বীকার করে?



আল্লাহর সৃষ্টি এ পৃথিবীতে নানা উপকারী নিয়ামতের পাশাপাশি আছে বহু রোগ-ব্যাধি, অসুখ-বিসুখ। ইসলামবিরোধীরা দাবি করে যে, রোগ সংক্রমণ সম্পর্কে নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) এর হাদিসের বক্তব্য বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। এ দাবি প্রমাণের জন্য তারা কিছু হাদিস দেখায়। ---

আনাস(রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী(ﷺ) বলেছেন, ‘‘রোগের সংক্রমণ ও অশুভ লক্ষণ বলতে কিছুই নেই। তবে শুভ লক্ষণ মানা আমার নিকট পছন্দনীয়।”
[লোকেরা] বলল, শুভ লক্ষণ কী?
তিনি বললেন, উত্তম বাক্য।’’ 
[সহীহ বুখারী ৫৭৭৬, সহীহ মুসলিম ৫৯৩৩-৫৯৩৪]

ধর্মের কি দরকার? মানবতাবাদীতাই কি শ্রেষ্ঠ ধর্ম না?



প্রশ্ন ১:

আচ্ছা ধর্মের দরকার কি আমি এটাই বুঝি না। সেই প্রাচীন যুগ তো এখন আর নাই। এখন আমরা সভ্য, বুদ্ধিমান প্রানী। মানবতাবাদীতাই কি শ্রেষ্ঠ ধর্ম না?


উত্তর:

মানবতাবাদীতে কেন শ্রেষ্ঠ ধর্ম না তার অনেকগুলো কারণ আছে, নিচের তার কয়েকটি উল্লেখ করছি।

সত্যিই যদি আল্লাহ থাকে তাহলে পৃথিবীতে এতো দুঃখ, কষ্ট কেন? পর্ব ২



প্রথম পর্বে আমি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিঃ

আল্লাহ আমাকে কেন বানিয়েছে? আমি কি আল্লাহকে বলেছিলাম আমাকে বানাতে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীতে পাঠাবার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করল না কেন আমি এরকম জীবন চাই কিনা? আল্লাহ কেন আমাকে এতো কষ্টের জীবন দিল, যেখানে অন্যরা কত শান্তিতে আছে? আমি কি বলেছিলাম আমাকে এতো কষ্ট দিতে? আল্লাহ আমাকে মেয়ে বানালো কেন, আমিতো মেয়ে হতে চাইনি? আল্লাহ আমাকে কালো কিন্তু অন্যদেরকে ফর্সা বানাল কেন, এটা তো ঠিক হল না? আমি খাট কেন, লম্বা না কেন? আমার কপালে এরকম শয়তান স্বামী পড়ল কেন? আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ি, রোযা রাখি, কোনদিন ঘুষ খাইনি, কিন্তু তারপরেও আমার ক্যান্সার হল কেন?

আল্লাহ কেন এরকম করলো? আল্লাহ থাকতে এসব হয় কিভাবে? পর্ব ১



আল্লাহ আমাকে কেন বানিয়েছে? আমি কি আল্লাহকে বলেছিলাম আমাকে বানাতে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীতে পাঠাবার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করল না কেন আমি এরকম জীবন চাই কিনা? যারা এধরনের প্রশ্ন করে তাদেরকে আপনি যদি একটা যুক্তিযুক্ত উত্তর দেনও, সাথে সাথে তারা প্রশ্ন করবেঃ “আল্লাহ কেন আমাকে এতো কষ্টের জীবন দিল, যেখানে অন্যরা কত শান্তিতে আছে? আমি কি বলেছিলাম আমাকে এতো কষ্ট দিতে?”

ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ কেন?



স্মরণাতীত কাল থেকে বিশ্বমানবতার জন্য ‘এলকোহল’ তীব্র যন্ত্রনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। মদ অসংখ্য অগুনতী মানুষের অকাল মৃত্যুর কারণ এবং বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের ভয়ঙ্কর দুর্দশার কারণ। মানুষের সমাজে অসংখ্য সমস্যার নেপথ্যে আসল হেতু এই ‘এলকোহল’ বা মদ। অপরাধ প্রবনতার তীব্র উর্ধগতী, ক্রমবর্ধমান মানসিক বিপর্যয় এবং কোটি কোটি ভাঙ সংসার জীবন্ত প্রমাণ বহর করছে বিশ্ব জুড়ে এলকোহলের নিরব ধ্বংসযজ্ঞের তান্ডবলীলা কি ভাবে চলছে।

শুকরের মাংস নিষিদ্ধ কেন?



এটা সর্বজন বিদিত যে, শুকুরের মাংস ভক্ষণ ইসলামে নিষিদ্ধ। নিম্নে বর্ণিত বিষয়গুলো এই নিষিদ্ধতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরবে।

ক. কুরআনে শুকুরের মাংস নিষিদ্ধতা

শুকুরের মাংস খাওয়া নিষেধঅন্তত চারটি স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে ২:১৭৩, ৫:৩, ৬:১৪৫, এবং ১৬:১১৫।

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব – পর্ব ২




৯. মুসলমানরা কা’বার পূজা করে

প্রশ্ন: ইসলাম যেখানে আকার বা মূর্তি পূজাকে প্রত্যাখ্যান করে সেখানে তারা নিজেরাই কেন তাদের প্রার্থনায় কাবার প্রতি নত হয়ে তার উপাসনা করে?

ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব – পর্ব ১


ভূমিকা

মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান একটি অর্পিত দায়িত্ব।
মুসলিম জাতির সচেতন অংশ খুব ভালো করেই জানেন যে, ইসলাম একটি বিশ্বজনীন জীবন ব্যবস্থা, যা গোটা মানব জাতির জন্য দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা সমগ্র সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক এবং তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পিত মানুষ, অর্থাৎ‘মুসলিম’-তাদেরকে বাছাই করে নির্বাচন করা হয়েছে, মানব জাতির প্রতিটি সদস্যের কাছে তাঁর বাণী যথাযথভাবে পৌঁছে দেবার দায়িত্বশীল করে।

এই SMS/ ইমেইল পরিচিত দশ জনকে পাঠান, আপনার উন্নতি হবে, এগুলোর কোন ভিত্তি নেই!



বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

প্রথমত, প্রায়ই কিছু SMS এর কথা শুনতে পাই/দেখি যা সত্য/মিথ্যা মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় এরপর ৭/১০ জনকে পাঠতে বলা হয় আর এটাও বলা হয় যে এতে কিছুদিনের কিংবা দুইদিনের মধ্যে সে সুসংবাদ শুনবে কিংবা তার উন্নতি হবে। দ্বীন সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা না থাকার কারণে অনেকে আবেগ প্রবন হয়ে সরল বিশ্বাসে SMS গুলো পাঠিয়ে থাকেন।

এক কঠিন আত্মোপলব্ধিঃ আমি কি আসলেই মুসলমান



আমরা আসলে সবাই এক সেলুকাসের দুনিয়ায় বাস করি ।কেন কথাটা বললাম কারণ আমরা সারাদিন যা বলি বা বিশ্বাস করি বাস্তবে তা করার জন্য তেমন আগ্রহী না ।আমরা সবাই জানি একদিন মরতে হবে , কিয়ামত আছে,হাশর আছে,জান্নাত আছে , জাহান্নাম আছে,আখিরাতের জীবন অনন্ত কালের সেখানে কোন মৃত্যু নাই। কিন্ত আমাদের কাজ বা আচরণে তা প্রকাশ পায় না । কেউ যদি ব্যবসায়ী বা খেলোয়াড় হয় তাহলে সে সারাদিন তার কাজ নিয়ে কথা বলে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে । ব্যবসায়ী কখনো এমন কাজে সময় নষ্ট করে না যার ফলে ব্যবসার ক্ষতি হয় তেমনি খেলোয়াড় সারাদিন খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং তার সমস্ত চিন্তা ঐ কাজে ব্যইয় করে ।সুতরাং মানুষ যা বিশ্বাস করে তার কাজ কর্মে তার প্রতিফলন ঘটে।

আত্মগঠন



মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন: “বরং মানুষ তার নিজের উপর দৃষ্টিমান। যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করে থাকে।” [সূরা কিয়ামাহ:১৪-১৫]

আল্লামা ইবনু কাছির (রহ.) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন: প্রতিটি মানুষই নিজের ব্যাপারে সাক্ষী, নিজ কর্ম সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত, অস্বীকার করুক কিংবা অজুহাত পেশ করুক। [তাফসির ইবনু কাছির, ৪/৪৪৯]

দৈনন্দিন জীবনে কুরআন



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আমাদের আজকের আয়োজন মহাগ্রন্থ কুরআন আল–কারীম থেকে নেয়া কিছু অমিয় উপদেশবাণী। এই উপদেশবাণীগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট। আসুন, আমরা আমাদের প্রতিপালক, আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দেয়া উপদেশ গ্রহণ করে তাঁর অনুগ্রহপ্রাপ্ত বান্দাহ্‌দের দলভুক্ত হই – রেফারেন্স সাজানো হয়েছে [সূরা নাম্বার/ আয়াত নাম্বার] অনুযায়ী 

কোরআনে ইখলাস সম্পর্কে অবতীর্ণ আয়াতসমূহ



আল্লাহর জন্য দ্বীনকে খালেস করণ

(১) “বল, ‘তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহর ব্যাপারে বিতর্ক করছ অথচ তিনি আমাদের রব ও তোমাদের রব? আর আমাদের জন্য রয়েছে আমাদের আমলসমূহ এবং তোমাদের জন্য তোমাদের আমলসমূহ এবং আমরা তাঁর জন্যই একনিষ্ঠ।” [ সূরা বাকারা : ১৩৯ ]

কুর’আনের অর্থ না বুঝার কারণে আপনি প্রতিদিন যে ১০টি জিনিস হারাচ্ছেন !



১)কুর’আন নাযিলের উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন !

আপনি যদি কুর’আনের অর্থ না বুঝেই কেবল উচ্চারণ করে পড়তে থাকেন, তাহলে কুর’আন নাযিলের মূল উদ্দেশ্য হারিয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন: “এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।” [সূরা সা’দ ২৯]

কুরআনের কয়েকটি বিশেষ সূরা ও আয়াতের ফযীলত



বাজারে প্রচলিত বিদ’আত ও ভুলে ভরা বই এ আমরা কুরআনের প্রত্যেকটি সূরার কোন না কোন ফজীলতের কথা পড়েছি। অথচ এগুলো অনেকাংশেই দুর্বল ও জাল হাদিসের উপর ভিত্তি করে লেখা। এখানে কুরআনের যেসব সূরা ও আয়াতের কথা সহীহ হাদিসে বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখিত হয়েছে, সে হাদিসগুলো একত্রে উপস্থাপন করা হল।

কোরআনের চ্যালেঞ্জ



বিষয়বস্তু উপস্থাপনের দিক থেকে কোরআন আল-কারীম এক অনন্য সাধারন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলেও কোরআন নিজেই অলৌকিকতায় ভরপুর এক বিস্ময়কর গ্রন্থ। “অলৌকিক” বলতে সাধারণত আমরা যা বুঝি তা হল, অতিপ্রাকৃতিক কিংবা বিস্ময়কর কোন ঘটনা যা মানুষের পক্ষে কখনই উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। নবী কারীম (সা) তৎকালীন আরবদেরকে কোরআনের ভাষা, ছন্দ ও বিষয়বস্তুর অলংকারের সমতুল্য সাহিত্য রচনার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অথচ তারাই কাব্যসাহিত্যে ব্যাপক পারদর্শী ছিল। কিন্তু কাব্য রচনায় নিজেদের এতো সাফল্য আর উৎকর্ষতা থাকার পরেও তারা উক্ত চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কোরআন এর অবিকল কিছু সৃষ্টির ঐ চ্যালেঞ্জ আরবসহ পুরো মানবজাতির উপর তিনটি পর্যায়ে দেয়া হয়েছেঃ

কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য এবং কুরআন পাঠে আমাদের আচারন



বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহীম। সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করছি এবং তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। তাঁরই নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। তাঁরই কাছে তওবা করছি। তাঁরই কাছে আমাদের নফসের অমঙ্গল এবং মন্দ আমল হতে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা যাকে হিদায়েত দান করেন কেউ তাকে পথ ভ্রষ্ট করতে পারে না আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেউ হিদায়াত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

সম্পর্কিত পোষ্টসমূহ