হাদীসের উপর বিশ্বাস: সহীহ, যইফ, জাল কি গোলক ধাঁধা ?
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, হাদীসের সহীহ/ জাল কার কথার উপর ভিত্তি করে বিশ্বাস করবো? আর এগুলো কতোটা সত্য?
আর এই প্রশ্ন আমার মধ্যেও ছিলো। তবে আমি যতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি তার থেকেই বলার চেষ্টা করি। তবে এর পূর্বে খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাজ্গীর এর কিছু কথা:
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করছেন কেবল তাঁরই ইবাদাত করার জন্য এবং তার দেখানো সহজ-সরল পথ ইসলামকে মেনে চলার জন্য। তিনিই মহান আল্লাহ যিনি সৃষ্টি করছেন আমাদের আদি পিতা 'আদম (আ.)' ও আদি মাতা 'হাওয়া (আ.)' কে। এবং তাদের থেকেই সূত্রাপাত করেছেন এই মানব জাতির। তিনিই আল্লাহ যিনি পুরুষদের জন্য স্ত্রীর বৈধতা দিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে দিয়েছেন অপার ভালোবাসা। তিনিই একমাত্র আল্লাহ যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক ফোঁটা বীর্য থেক, অতঃপর সুবিন্যস্ত করেছেন বিভিন্ন আকার-আকৃতিতে। তিনিই আমাদের মধ্য থেকে নির্বাচন করেছেন যুগল নর ও নারী এবং দিয়েছেন বৈবাহিক ক্ষমতা।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর । যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদাত করার জন্য । এবং আমাদের মধ্যে প্রেরণ করেছেন বহু নাবী -রাসূলগণ (আ.)। যারা আমাদেরকে ডেকেছেন সত্যের পথে, দেখিয়েছেন জান্নাতের পথ যেমনিভাবে আল্লাহ সুবাহানওয়া তা'আলা নির্দেশ দিয়েছেন । তাই তাদের প্রতি আমাদের দূরুদ ও সালামসহ আল্লাহর পক্ষ হতে যথাযোগ্য মর্যাদা পাওয়ার প্রার্থনা করি । আমীন ।
ইন্টারনেটের বদৌলতে আজকাল জ্ঞান অর্জন করা যেমন সহজ, তেমনি জ্ঞান বিতরণও অনেক সহজ। হেন কোন বিষয় নাই, যা প্রফেসর গুগল জানেন না! কথার কথায় অনেকে তো এমনও বলে যে, “যা গুগলে নাই, তার অস্তিত্ব নাই।” কিছুটা হলেও কথাটা সত্য বটে।
আমরা এদেশেই গ্রামে জন্মেছি, এদেশেই বড় হয়েছি। হিন্দু-মুসলমান মিলিত যে গ্রাম ছোট বেলায় দেখেছি, সেই গ্রাম আজও দেখছি। নববর্ষ উদযাপন বা বৈশাখী মেলার নাম কখনো শুনিনি, দেখিনি বা আজও হয় না। আমরা জানতাম ‘মেলা’ হিন্দুরা করে। যদিও আমাদের গ্রামের হিন্দুদের বৈশাখী মেলা করতে দেখিনি। মুরববীরা বলতেন, মুসলমানদের মেলায় যেতে নেই। ভাদ্রের শেষ দিনে সাতক্ষীরার গুড়পুকুরের মেলায় বয়স্করা কেউ গেলেও লুকিয়ে-চুরিয়ে যেত। বাড়ী এসে ভয়ে মুখ খুলতো না।