আপনার অনুভূতি জাগবে তো ?

আপনার অনুভূতি জাগবে তো ?

যে মৃত্যুর কথা, কবরের কথা স্মরণ করে কাঁদতে কাঁদতে সালফে সালেহীনরা দাড়ি ভিজিয়ে ফেলতেন, সাহাবারা বেহুঁশ হয়ে পড়তেন; সেই মৃত্যুকে কমনীয় করে সাজাতে সাহিত্যিকদের যে আয়োজন, তার আউটপুট একটাই- আল্লাহ্‌র স্মরণ দূরে সরিয়ে ফেলা। তরুণরা শাহাদাতের মৃত্যুর স্বপ্ন দেখবে না, দেখবে ‘চান্নি পসর রাইতে’ মরণের। যেন জ্যোৎস্না রাতে মৃত্যুর ফিরিশতা সহজে জান কবজ করে। হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে ঘুরে বেড়ানো যে যুবকটিকে হুমায়ূন আহমেদ হিরোরূপে দেখিয়েছেন, সে আপাদমস্তক অথর্ব; দিনের পর দিন গায়ে পানি না লাগানো অপবিত্র শরীরের একটা অপদার্থ, যে বাস্তবে থাকলে গায়ের গন্ধেই টেকা মুশকিল হত। মেয়েরা চাইবে ‘রূপা’ আর বাকের ভাইয়ের ‘মুনা’ হতে; মারইয়াম থাকবে অপরিচিত, ‘মারিয়া’ বললে ঠিক আছে, পাঁচ পদ্মের নায়িকা বলে কথা! আর যুবকেরা তাদের প্রাণশক্তি দিয়ে আসবে হাঁ করে চাঁদের আলো খেতে থেকে, আর রাতের অন্ধকারে জৈবিক মিলন ঘটিয়ে প্রেয়সীর অধিকার আদায় করে; যেমনটা জাফর ইকবাল বলেছিল-“হুমায়ূনের গল্প পড়ে তরুণ-তরুনীরা অবলীলায় প্রেমে পড়তে শিখেছে”।

চাশতের সালাত কি এবং কখন ?

চাশতের সালাত কি এবং কখন ?

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

বুরাইদা (রা) বলেন,
রাসূলুল্লাহ্‌ (সা) বলেছেন, “মানুষের শরীরে ৩৬০ টি জোড় রয়েছে। অতএব মানুষের কর্তব্য হল প্রত্যেক জোড়ের জন্য একটি করে সদাকা করা।” সাহাবায়ে কেরাম (রা) বললেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! কার শক্তি আছে এই কাজ করার?” তিনি (সা) বললেন, “মসজিদে কোথাও কারোর থুতু দেখলে তা ঢেকে দাও অথবা রাস্তায় কোন ক্ষতিকারক কিছু দেখলে সরিয়ে দাও। তবে এমন কিছু না পেলে, চাশতের দুই রাকা’আত সালাতই এর জন্য যথেষ্ট।” [আবু দাউদ; কিতাবুল ‘আদাব’, অধ্যায়ঃ ৪১, হাদীস নং:৫২২২]

কোন্ কোন্ অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ ?



১। একেবারেই পানি না পাওয়া গেলে অথবা পান করার মত থাকলে এবং ওযু-গোসলের জন্য যথেষ্ট পানি না পাওয়া গেলে।

হযরত ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) বলেন, আমরা নবী (সাঃ) এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। এক সময় তিনি লোকেদের নিয়ে নামায পড়লেন। যখন তিনি নামায শেষ করলেন, তখন দেখলেন একটি লোক একটু সরে পৃথক দাঁড়িয়ে আছে। সে জামাআতে নামাযও পড়েনি। তিনি তাকে বললেন, “কি কারণে তুমি জামাআতে নামায পড়লে না?” লোকটি বলল, ‘আমি নাপাকে আছি, আর পানিও নেই।’ তিনি বললেন, “পাক মাটি ব্যবহার কর। তোমার জন্য তাই যথেষ্ট।” (বুখারী, মুসলিম, সহীহ মিশকাত ৫২৭নং)

আল্লাহর উপর ভরসা করুন!



দ্বীনের রাস্তায় আসলে মানুষকে আল্লাহ বড় একটা পরীক্ষা নেন। সাহাবাদের নিয়েছেন, আমাদেরও নিচ্ছেন। যারা সত্যি বিশ্বাস করে পৃথিবীতে মানুষ এসেছে পরীক্ষা দিতে তারা আল্লাহর উপর ভরসা করে একটা লিপ অফ ফেইথ নিতে পারে।

হয়ত সেটা সুদী ব্যাংকে চাকরি ছাড়া। হয়ত উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কাফেরদের দেশ ছেড়ে আসা। হয়ত হারাম ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া।

আমরা কতটুকু মুমিন হতে পেরেছি ?

আমরা কতটুকু মুমিন হতে পেরেছি ?

আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সালামু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ ﷺ।

উমর (রা) ইসলাম গ্রহণ করার পর ইসলামের শক্তি বেড়ে গিয়েছিল। তিনি রাসূল ﷺ কে খুবই ভালবাসতেন, রাসূল ﷺ এর আদেশ মান্য করতেন।

সম্পর্কিত পোষ্টসমূহ