আত্মগঠন



মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন: “বরং মানুষ তার নিজের উপর দৃষ্টিমান। যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করে থাকে।” [সূরা কিয়ামাহ:১৪-১৫]

আল্লামা ইবনু কাছির (রহ.) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন: প্রতিটি মানুষই নিজের ব্যাপারে সাক্ষী, নিজ কর্ম সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত, অস্বীকার করুক কিংবা অজুহাত পেশ করুক। [তাফসির ইবনু কাছির, ৪/৪৪৯]

দৈনন্দিন জীবনে কুরআন



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আমাদের আজকের আয়োজন মহাগ্রন্থ কুরআন আল–কারীম থেকে নেয়া কিছু অমিয় উপদেশবাণী। এই উপদেশবাণীগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট। আসুন, আমরা আমাদের প্রতিপালক, আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দেয়া উপদেশ গ্রহণ করে তাঁর অনুগ্রহপ্রাপ্ত বান্দাহ্‌দের দলভুক্ত হই – রেফারেন্স সাজানো হয়েছে [সূরা নাম্বার/ আয়াত নাম্বার] অনুযায়ী 

কোরআনে ইখলাস সম্পর্কে অবতীর্ণ আয়াতসমূহ



আল্লাহর জন্য দ্বীনকে খালেস করণ

(১) “বল, ‘তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহর ব্যাপারে বিতর্ক করছ অথচ তিনি আমাদের রব ও তোমাদের রব? আর আমাদের জন্য রয়েছে আমাদের আমলসমূহ এবং তোমাদের জন্য তোমাদের আমলসমূহ এবং আমরা তাঁর জন্যই একনিষ্ঠ।” [ সূরা বাকারা : ১৩৯ ]

কুর’আনের অর্থ না বুঝার কারণে আপনি প্রতিদিন যে ১০টি জিনিস হারাচ্ছেন !



১)কুর’আন নাযিলের উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন !

আপনি যদি কুর’আনের অর্থ না বুঝেই কেবল উচ্চারণ করে পড়তে থাকেন, তাহলে কুর’আন নাযিলের মূল উদ্দেশ্য হারিয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন: “এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।” [সূরা সা’দ ২৯]

কুরআনের কয়েকটি বিশেষ সূরা ও আয়াতের ফযীলত



বাজারে প্রচলিত বিদ’আত ও ভুলে ভরা বই এ আমরা কুরআনের প্রত্যেকটি সূরার কোন না কোন ফজীলতের কথা পড়েছি। অথচ এগুলো অনেকাংশেই দুর্বল ও জাল হাদিসের উপর ভিত্তি করে লেখা। এখানে কুরআনের যেসব সূরা ও আয়াতের কথা সহীহ হাদিসে বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখিত হয়েছে, সে হাদিসগুলো একত্রে উপস্থাপন করা হল।

কোরআনের চ্যালেঞ্জ



বিষয়বস্তু উপস্থাপনের দিক থেকে কোরআন আল-কারীম এক অনন্য সাধারন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলেও কোরআন নিজেই অলৌকিকতায় ভরপুর এক বিস্ময়কর গ্রন্থ। “অলৌকিক” বলতে সাধারণত আমরা যা বুঝি তা হল, অতিপ্রাকৃতিক কিংবা বিস্ময়কর কোন ঘটনা যা মানুষের পক্ষে কখনই উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। নবী কারীম (সা) তৎকালীন আরবদেরকে কোরআনের ভাষা, ছন্দ ও বিষয়বস্তুর অলংকারের সমতুল্য সাহিত্য রচনার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অথচ তারাই কাব্যসাহিত্যে ব্যাপক পারদর্শী ছিল। কিন্তু কাব্য রচনায় নিজেদের এতো সাফল্য আর উৎকর্ষতা থাকার পরেও তারা উক্ত চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কোরআন এর অবিকল কিছু সৃষ্টির ঐ চ্যালেঞ্জ আরবসহ পুরো মানবজাতির উপর তিনটি পর্যায়ে দেয়া হয়েছেঃ

কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য এবং কুরআন পাঠে আমাদের আচারন



বিসমিল্লাহর রাহমানির রাহীম। সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করছি এবং তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। তাঁরই নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। তাঁরই কাছে তওবা করছি। তাঁরই কাছে আমাদের নফসের অমঙ্গল এবং মন্দ আমল হতে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা যাকে হিদায়েত দান করেন কেউ তাকে পথ ভ্রষ্ট করতে পারে না আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেউ হিদায়াত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

একটা শক্ত ব্রেক! -বদলে দিতে পারে অনেক কিছু.....

একটা শক্ত ব্রেক! -বদলে দিতে পারে অনেক কিছু.....

আপনি যখন ভালো হয়ে যাওয়ার চিন্তা শুরু করেন; ভাবেন, নাহ! আর এমন জীবন নয়; ভালো হয়ে যেতে হবে; নামাজ পড়া শুরু করতে হবে। তখন শয়তান এসে বলে, হ্যা শুরু তো করবা ঠিক আছে, কিন্তু কোন ওয়াক্ত থেকে? আজ তো তিন ওয়াক্ত চলেই গেছে; ভাঙ্গা দিন থেকে শুরু করে কী হবে, তার চেয়ে কাল থেকেই শুরু করো। শুরু করলে দিনের শুরু থেকেই করা উচিত, ফজর থেকে।

কিছু অমৃত বাণী:

কিছু অমৃত বাণী:

●●● ”তাওহীদ হলো সমস্ত দোয়া, সমস্ত কান্নাকাটি, সাহায্য চেয়ে সমস্ত আবেদন, সমস্ত আশা এবং সকল কল্যাণের আগমন ও সকল ক্ষতি নিবারণের জন্য প্রার্থনা অন্য কেউ নয় বরং কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে হতে হবে।”

– ইমাম মুহাম্মাদ আলী আশ-শাওকানী [আল দূর আল-নাদিদ]

মুসলিমদের বিজয় কেমন হবে ?

মুসলিমদের বিজয় কেমন হবে ?

আলহামদুলিল্লাহ, আস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ।

প্রকৃতপক্ষে 'বিজয়' শব্দটার মধ্যে এমন একটা উপলব্ধি রয়েছে, যা অন্য কিছুর মধ্যে নেই। এই যেমন নতুন হাটতে শেখা একটা বাচ্চা দৌড়ে গিয়ে তার মা'কে ধরতে পারার মধ্যে যে বিজয়ের আনন্দ পায়, তা কেবল সেই বুঝে। আবার মৃত্যুর পর জান্নাত পাওয়ার আনন্দ কেবল ঐ বিজয়ী (জান্নাতী) ব্যক্তিই বুঝবে। তবে বিজয় শব্দটা ইতিবাচক হলেও প্রায় সময় নেতিবাচক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এই যেমন একজন চুর সফলভাবে চুরি সম্পন্ন করাকেও বিজয় মনে করে। তবে নেতিবাচক বিজয় কেবল পৃথিবীতেই সম্ভব। কারণ পরকালে কোন জাহান্নামী ব্যক্তি নিজেকে বিজয়ী বলে দাবি তো করবেই না বরং হতাশায় আচ্ছন্ন হবে।

সূরা বাকারাহ : কুরআনের চূড়া

সূরা বাকারাহ : কুরআনের চূড়া

হযরত মা’কাল বিন ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘সূরা-ই-বাকারাহ’ কুরআনের কূঁজ এবং তার চূড়া । এর এক একটি আয়াতের সঙ্গে ৮০ জন ফেরেশতা উর্ধ্বগগণ থেকে অবতীর্ণ হয়েছিলেন । বিশেষ করে ‘আয়াতুল কুরসী’ তো খাস আরশ হতে অবতীর্ণ হয়েছে এবং এই সূরার সঙ্গে মিলানো হয়েছে ।

তাহাজ্জুদের সালাতের গুরুত্ব ও আদায়ের সঠিক নিয়ম

তাহাজ্জুদের সালাতের গুরুত্ব ও আদায়ের সঠিক নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হরহামেশা এ নামাজ নিয়মিতিভাবে পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) কে তা নিয়মিত আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। পবিত্র কুরআনে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বিশেষভাবে তাকিদ করা হয়েছে । যেহেতু উম্মতকে নবীর অনুসরণ করার হুকুম করা হয়েছে সে জন্যে তাহাজ্জুদের এ তাকীদ পরোক্ষভাবে গোটা উম্মতের জন্য করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোষ্টসমূহ