উপকারহীন দশটি বিষয়

উপকারহীন দশটি বিষয়


হাফিজ ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, এমন দশটি বিষয় রয়েছে যাতে কোন উপকারিতাই নেই-

১. সেই জ্ঞান যা কাজে পরিণত করা হয় না।

২. সেই কাজ যাতে ইখলাস নেই এবং সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়।

সূরা ফাতিহার ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য

সূরা ফাতিহার ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য

ভূমিকা :
আল-কুরআন আল্লাহ্র বাণী, যা জিবরাঈল (আঃ) মারফত সুদীর্ঘ ২৩ বছরে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর প্রতি অবতীর্ণ হয়। আল-কুরআনকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির দিশারী বা পথপ্রদর্শক রূপে নাযিল করেছেন। আল-কুরআনের ভূমিকা হ’ল সূরাতুল ফাতিহা। এটিকে আবার আল-কুরআনের সারসংক্ষেপও বলা হয়। তাই সূরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। আলোচ্য নিবন্ধে এ সূরার ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হ’ল।-

পয়লা বৈশাখ - মেকি বাঙালিত্ব বনাম ইসলাম:

পয়লা বৈশাখ - মেকি বাঙালিত্ব বনাম ইসলাম:
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
১.
আজ “পয়লা বৈশাখ” ওরফে “শুভ নববর্ষ”। আমাদের স্বভাবটা জানি কেমন - অন্য মানুষের জিনিসকে আমরা নিজেদের বলে চালাতে ভারি ভালোবাসি। কোথাকার কোন দিল্লির সম্রাট আকবর প্রজা শোষণের সুবিধার্থে, কৃষকদের গলায় গামছা বেঁধে উৎপাদিত ফসলের ভাগ ছিনিয়ে নিতে চালু করলো তারিখ-ই-ইলাহি। তাও যদি ব্যাপারটাতে একটু স্বকীয়তা থাকতো! মুসলিমদের হিজরি সালকে (বর্তমানে ১৪৩২) মন্ত্র পড়িয়ে, গলায় পৈতে ঝুলিয়ে করা হল সৌরবছর। সেই তারিখ-ই-ইলাহি- ই আজকের তথাকথিত বঙ্গাব্দ (বর্তমানে ১৪১৮)। এই মুঘল বাদশার চরম আক্রোশ ছিল বাংলার প্রতি। স্বাধীন বাংলাকে কব্জা করতে সে সেনাপতি মানসিংহকে ৫০টি কামান দিয়ে পাঠায়। সোনারগাঁর ঈশা খান সমানে সমানে লড়ে যান তার বিশাল বাহিনীর বিপক্ষে। শেষমেশ দন্দ্বযুদ্ধে মানসিংহকে পরাজিত করার পরেও তিনি হত্যা না করে ছেড়ে দেন। বিজয়ী বীরের মহানুভবতা দেখে মানসিংহের স্ত্রী অনেক অনুরোধ করে দিল্লিতে নিয়ে আসে ঈশা খানকে। কিন্তু সেখানে কি হল? আকবর দ্য গ্রেট ঈশা খানকে বন্দী করে ছুড়ে ফেলে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে। পরে নাকি অবশ্য মহান আকবর তার ভুল বুঝতে পেরে বাংলার সিংহপুরুষকে দয়া করে মুক্তি দেয়! এই সেই সম্রাট আকবর যে ‘দ্বীনে ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্ম প্রবর্তন করেছিলো - যাতে ইসলাম ধর্মের খারাপ জিনিসগুলো বাদ দিয়ে হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের ভালো জিনিস যোগ করা হয়েছিল! যে দিল্লিপতির হানাদার বাহিনী বার বার বাংলার মাটি লাল করেছে আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্তে - তারই চালু করা ফারসি ভাষার সাল গণনাকে আমরা ‘বঙ্গাব্দ’ বলে চালিয়ে ভারী গর্ববোধ করি।

বিদআতের সংজ্ঞা : এ কি কোন গোলকধাঁধা?

ঘটনা ১:

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের কথা।নানাবাড়ি রংপুর গেছি সপরিবারে, সেখান থেকে দিনাজপুর (দাদাবাড়ি) যাওয়ার পরিকল্পনা। দেখতে দেখতে আব্বু চলে যাওয়ার একটা বছর পার হয়ে গেছে,উদ্দেশ্য-তার ‘মৃত্যু বার্ষিকী’ পালন করা। এই উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে লোক খাওয়ানো হবে ইত্যাদি......হঠাৎ ডাইনিং টেবিলে নাস্তা খেতে খেতে আমার এক আত্মীয় বললেন, এই যে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জীবদ্দশায় ঊনার এত আত্মীয়, সাহাবীরা মারা গেছেন, উনি কি কারো মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন করেছেন? ঊনারা যা করেন নি তা আমরা কেন করব? আমি কথাটা শুনে খুব অবাক হয়ে ভাবতে থাকলাম যে ঊনারা যা করেন নি তা আমরা করতে পারব না, এটা কেমন কথা? আমরা যা করছি, তাতো খারাপ কিছু না! গরীব মানুষদের খাওয়ানো হবে, আব্বুর কবরে গিয়ে সূরা ইয়াসীন পড়া হবে----------সবই তো ভাল কাজ!!

সম্পর্কিত পোষ্টসমূহ